ডলারভর্তি লাগেজ ছাড়াতে ৭৮ লাখ টাকা খোয়াল রত্নেশ্বর মাঝি

প্রকাশ : ০৭ জুলাই ২০২৪, ১৮:১৪ | অনলাইন সংস্করণ

  বরিশাল ব্যুরো

প্রতারক চক্রের খপ্পরে পড়ে প্রায় ৭৮ লাখ টাকা খুইয়েছেন বরিশাল নগরের এক বাসিন্দা। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের ছয় মাস পর পুলিশ চক্রের একজনকে গ্রেপ্তার করতে পেরেছে।

গ্রেপ্তার মো. সোহাগ শেখ শরিয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের পাঁচগাও গ্রামের মো. জব্বার শেখের ছেলে।

রোববার বেলা ১১টায় বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের সদরদপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি জানান উপ–কমিশনার (দক্ষিণ) মো. আলী আশরাফ ভূঞা।

জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের বরাতে তিনি জানান, গ্রেপ্তার সোহাগ শেখ প্রতারক চক্রের প্রথম স্তরের প্রথম ব্যক্তি। এখানে আরও চার থেকে পাঁচটি ধাপে ১০ থেকে ১২ কিংবা আরও বেশি সদস্য রয়েছেন। এর মধ্যে বিদেশেও একটি স্তর থাকতে পারে। চক্রের সদস্যরা প্রতিটি স্তরে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে মানুষের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।

ঘটনার বিবরণে উপ–কমিশনার (দক্ষিণ) মো. আলী আশরাফ ভূঞা বলেন, মামলার বাদী বরিশাল নগরের বাসিন্দা রত্নেশ্বর মাঝি একজন বেসরকারি অবসরপ্রাপ্ত চাকরিজীবী। গত বছরের ১৯ নভেম্বর তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে খায়রুন নেছা নামে এক নারী কল করেন এবং কাস্টমস অফিসার হিসেবে নিজের পরিচয় দেন। এরপর ফোনের ওপার থেকে ওই নারী রত্নেশ্বর মাঝিকে জানান, যে তার (রত্নেশ্বর মাঝির) নামে এলিজাবেথ এরিস নামে একজন একটি লাগেজ পাঠিয়েছেন, যার মধ্যে বিপুল পরিমাণে ডলার আছে।  এরপর খায়রুন নেছা নামের ওই নারী রত্নেশ্বর মাঝিকে বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখান এবং ডলারগুলো কাস্টমস থেকে ছাড়ানোর জন্য পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন পরিমাণের টাকা দাবি করেন।

অভিযানে সোহাগ শেখকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযানে তার কাছে ৩৫টি ব্যাংকের ৮৬টি ডিজিটাল ব্যাংক (এটিএম) কার্ড, বিভিন্ন ব্যাংকের ১৫১টি চেকের পাতা, একটি অ্যানড্রয়েডসহ চারটি মোবাইল সেট ও আটটি সিমকার্ড পাওয়া যায়।

উপ–কমিশনার (দক্ষিণ) মো. আলী আশরাফ ভূঞা বলেন, এ চক্রের বাকি সদস্যের গ্রেপ্তারে কাজ করছে পুলিশ। আর গ্রেপ্তার সোহাগ শেখের বিরুদ্ধে ঢাকার খিলগাঁও থানাসহ একাধিক থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।