ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ অব্যাহত
সিরাজগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তীত, বাড়ছে দুর্ভোগ
প্রকাশ : ০৮ জুলাই ২০২৪, ১৮:৪৮ | অনলাইন সংস্করণ
স্টাফ রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জ
যমুনা নদীর পানি সামান্য কমলেও সিরাজগঞ্জের নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তীত রয়েছে। বন্যা কবলিত এলাকার লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী। অনেক পরিবার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। অব্যাহত রয়েছে বিভিন্ন স্থানে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সপ্তাহ ব্যাপী পাহাড়ি ঢল ও বর্ষণে যমুনার পানি বেড়ে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এতে তিল পাট কাউনসহ বিভিন্ন ফসল ডুবে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং নিম্নাঞ্চলের সড়ক যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন ঘটেছে। বন্যা কবলিত এলাকার বিভিন্ন স্থানে বিশুদ্ধ পানি সংকটের সৃষ্টি হয়েছে। নদীর তীরবর্তী বেলকুচি, শাহজাদপুর, চৌহালী, কাজিপুর ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার নিম্নাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে ভাঙ্গন ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এবং বহু পরিবার মানবেতর জীবন যাপন করছে। বিশেষ করে শাহজাদপুর, কাজিপুর ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার নিম্নাঞ্চলে মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে।
এদিকে সোমবার দিনভর স্থানীয় এমপি ড. জান্নাত আরা হেনরী সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কাওয়াকোলা ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন।
এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি হেলাল উদ্দিন ও ইউপি চেয়ারম্যান জিয়া মুন্সিসহ বিভিন্ন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া জেলার বন্যা কবলিত এলাকার বিভিন্ন স্থানে জেলা প্রশাসনের তত্বাবধানে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে। সদর উপজেলা চেয়ারম্যান বলেন, ব্যক্তিগত উদ্যোগে মঙ্গলবার খোকশাবাড়ি, মেছাড়া ইউনিয়নের চরাঞ্চলে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হবে।
জেলা প্রশাসনের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, যমুনার তীরবর্তী ওই ৫টি উপজেলার ৩৪টি ইউনিয়নের প্রায় লক্ষাধিক মানুষ এখন পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তবে যমুনায় সামান্য পানি কমলেও নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তীত রয়েছে। বন্যা কবলিত এলাকায় ইতিমধ্যেই ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ শুরু হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এছাড়া স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের একজন কর্মকর্তা বলছেন, ভাঙ্গন রোধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।