নাটোরের গুরুদাসপুরে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে পুলিশে হাতে ৬ ডাকাত গ্রেফতার হয়েছে। এসময় একটি পিকআপসহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ।
বুধবার (১০ জুলাই) দিনগত রাত সাড়ে ৮ টার দিকে উপজেলার বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কের কাছিকাটা টোলপ্লাজার এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
আজ দুপুরে নাটোর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার মো. তারিকুল ইসলাম।
গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলেন-সিরাজগঞ্জ জেলার এনায়েতপুর উপজেলার পাকুড়তলা এলাকার মৃত আফজাল হোসেনের ছেলে মোঃ মোকাদ্দেছ (৬০), নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলার ঘাটকোর মধ্যপাড়ার এলাকার মোঃ মোকলেছুর রহমানের ছেলে (ড্রাইভার) মিঠু (২৮), সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি উপজেলার মেঘুল্লা এলাকার মোঃ আব্বাস মন্ডলের ছেলে নাঈম হোসেন(২৮), সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বারইপাড়া মোল্লাপাড়া এলাকার মো. সাদ্দামের ছেলে মোঃ হোসেন আলী (২০), সিরাজগঞ্জ জেলার
এনায়েতপুর উপজেলার গোফরেখি মধ্যমপাড়া এলাকার মৃত ইনসাফ আলীর ছেলে মোঃ এমদাদুল (৪৫) এবং সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলার বাচামারা গুচ্ছগ্রাম এলাকার মো. হাবিবুর রহমানের ছেলে মোঃ সুজন (২৫)।
পুলিশ সুপার মো. তারিকুল ইসলাম জানান, বুধবার রাতে পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে গুরুদাসপুর উপজেলার বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কের কাছিকাটা টোলপ্লাজার এলাকায় একটি পিকআপ গাড়িসহ কতিপয় দুষ্কৃতিকারী ব্যক্তিরা দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্রসহ ডাকাতির প্রস্তুতির জন্য সমবেত হয়েছে। এরপর পুলিশের
একটি চৌকস টিম রাতেই ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় একটি পিকআপ গাড়ি, দেশীয় অস্ত্রসহ ৬
ডাকাতকে গ্রেফতার করে। এসময় তাদের কাছ থেকে একটি তালা কাটার যন্ত্র, একটি চাকু, ৩টি লোহার রড, ২টি প্লায়ার্স, ২টি স্ক্রু-ড্রাইভার, ২টি স্লাইরেঞ্জ, ২টি হ্যাক্সো-ব্লেড, ১টি ইউপিভিসি পাইপ, ১টি টর্চ লাইট, ১টি প্লাস্টিকের দড়ি, ১টি সুতার দড়ি এবং ১টি কালো রংয়ের ব্যাগ উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও জানান, রাস্তায় ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিলো বলে ডাকাতরা জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় গুরুদাসপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামিদের নামে চুরি মামলাও রয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো.শরিফুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(সদর সার্কেল) মাহমুদা শারমীন নেলী, লালপুর থানার কর্মকর্তা ওসি মো. নাছিম আহমেদ, গুরুদাসপুর থানার ওসি মো. উজ্জল হোসেনসহ পুলিশের কর্মকর্তারা।