ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বরিশালে দুই মাস ধরে নিখোঁজ কিশোরের কঙ্কাল উদ্ধার

বরিশালে দুই মাস ধরে নিখোঁজ কিশোরের কঙ্কাল উদ্ধার

দুই মাস ধরে নিখোঁজ কিশোর সোহেল ফরাজীর (১৫) কঙ্কাল উদ্ধার করেছে পুলিশ। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন খয়রাবাদ সেতুর নিচ থেকে বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) রাতে এ কঙ্কাল উদ্ধার হয়। এ ঘটনায় হত্যার শিকার সোহেলের বন্ধু ইমরান নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহমান মুকুল। তিনি বলেন, ব্যাটারিচালিত রিকশা বাগাতে তার ৪ বন্ধু হৃদয়, বাপ্পি, রাকিব ও ইমরান নিহত সোহেলকে হত্যা করেছে। অভিযুক্তরা এনার্জি ড্রিংকের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিলিয়ে তা সোহেলকে পান করিয়ে অজ্ঞান করে নদীতে ফেলে দেয়। এরপর পলাতক থাকা বন্ধু ইমরানকে বুধবার আটক করলে তার দেওয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী লাশ উদ্ধার করা হয়।

সোহেল ফরাজী বরিশাল নগরের দক্ষিণ আলেকান্দা রিফিউজি কলোনি এলাকার বাসিন্দা রিকশাচালক ফরিদ ফরাজীর ছেলে। আটক ইমরান একই এলাকার বাসিন্দা নান্না খানের ছেলে। সোহেল ট্রাকচালকের সহকারী হিসেবে কাজ করতেন। ট্রাক চালক বিদেশে চলে যাওয়ায় সে বেকার ছিলেন।

ওসি মুকুল বলেন, সোহেলের ব্যাটারিচালিত রিকশা নেওয়ার জন্য পরিকল্পনা করে তার ৪ বন্ধু। এরপর নগরীর লাকুটিয়া সড়কের একটি দোকান থেকে ঘুমের ওষুধ কেনা হয়। পরে কীর্তনখোলা নদীর ওপর সেতুতে এনাজিং ড্রিংকসে গুঁড়ো করা ঘুমের ওষুধ মেশানো হয়। সেখান থেকে ৫ জন খয়রাবাদ সেতুর নিচে যায়। পরিকল্পনা অনুযায়ী ঘুমের ওষুধ মেশানো এনার্জি ড্রিংকস পান করানো হয় সোহেলকে। এতে সে অজ্ঞান হয়ে পড়লে নদীতে ফেলে দেওয়া হয়। পরে রিকশা বিক্রি করে ইমরান পালিয়ে যায়।

সোহেল ফরাজীর ভাই সোহাগ ফরাজী জানান, বেকার থাকার কারণে ঘটনার দিন বাবার ব্যাটারিচালিত রিকশা নিয়ে বের হন সোহেল। ওই দিন তার ভাই সোহেলকে ডেকে নেয় বন্ধু ইমরান। এরপর থেকে সোহেল নিখোঁজ ছিলো। এসময় ধরে বন্ধু ইমরানও নিখোঁজ ছিলো বলে জানান তিনি।

সোহাগ ফরাজী আরও বলেন, পুলিশ তাকে কোতোয়ালি মডেল থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সোহেলকে হত্যার কথা স্বীকার করে। তখন বিষয়টি বন্দর থানায় জানানো হয়। বন্দর থানা পুলিশ ইমরানকে নিয়ে খয়রাবাদ সেতুর নিচে গিয়ে একটি কঙ্কাল পেয়েছে।

কঙ্কাল
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত