সিরাজগঞ্জে বন্যার অজুহাতে অসৎ ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে সবজির দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে। বিশেষ করে কাঁচা মরিচ, বেগুন ও পেয়াঁজের বাজার আগুনে ক্রেতারা এখন দিশেহারা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, কোরবানি ঈদের আগে থেকে সবজির বাজার মোটামুটি স্থিতিশীল ছিল। প্রায় সপ্তাহ ধরে এ সবজির বাজার বাড়তে থাকে। শনিবার সকালে সিরাজগঞ্জ শহরের বড় বাজারসহ জেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে এ সবজির দাম বেড়ে যায় অস্বাভাবিকভাবে এবং এ কারণে ক্রেতারা দিশেহারা হয়ে পড়েছে।
এরমধ্যে কাঁচা মরিচ ৩৯০/৪০০, বেগুন ৮০/১০০, পেয়াঁজ ১১০/১২০, আলু ৬০/৭০, করলা ১০০/১২০, টমেটো ২০০, ঢেরশ ৫০, কাচা পেপে ৪৫/৫০, রসুন ২২০/২৩০, পোটল ৪০/৫০, পল্লা ৪০/৪৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও অনান্য সবজির দামও বাড়ছে এবং বিশেষ করে কাঁচা মরিচের বাজার ঝাল নিয়ে সমালোচনাও উঠছে।
এ বিষয়ে খুচরা সবজি ব্যবসায়ীরা বলছেন, জেলার বিভিন্ন স্থানে নি¤œাঞ্চলে বন্যার কারণে কাঁচামরিচসহ বিভিন্ন সবজি নষ্ট হয়েছে। এ অজুহাত দেখিয়ে আড়ৎদাররা কাঁচা মরিচসহ বিভিন্ন সবজির দাম বাড়িয়ে দিয়েছে এব্ং এক্ষেত্রে আমাদের করার কিছু নেই। তবে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ব্যবস্থা নিলে প্রকৃত রহস্য বেড়িয়ে আসতে পারে। তবে এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একধিক আড়ৎদার বলছেন, জেলার সিংহভাগে সবজিসহ কাচামাল উৎপাদন হয় চরাঞ্চলে। এ বন্যা জনিত কারণে সবজি উৎপাদন ব্যহত হচ্ছে এবং বহন খরচ বেশি থাকার করণেই এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে যমুনা নদীর পানি সামান্য করে কমলেও বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তীত রয়েছে। যমুনার তীরবর্তী চৌহালী, শাহজাদপুর, বেলকুচি, কাজিপুর ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার নিম্নাঞ্চল বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে এবং বহু পরিবার এখনও পানিবন্দি রয়েছে। এসব এলাকার অনেক স্থানে ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে। স্থানীয় ওয়াবদা বাঁধসহ বিভিন্ন স্থানে অনেক পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। তবে দফায় দফায় বর্ষণে বন্যা কবলিত এলাকায় জনদূর্ভোগ বাড়ছে।
অবশ্য স্থানীয় এমপি, ব্যক্তিগত উদ্যোগ ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যা ও ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় ত্রাণ সামগী বিতরণ অব্যাহত রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানানো হয়েছে।