ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

চাঁদপুরে নদীর পানি বৃদ্ধিতে বিভিন্ন এলাকায় ভাঙন

চাঁদপুরে নদীর পানি বৃদ্ধিতে বিভিন্ন এলাকায় ভাঙন
পদ্মায় পানি বৃদ্ধিতে আবারো ভাঙ্গছে রাজরাজেশ্বর, যেকোন সময় বিলীন হয়ে যাবে ইউনিয়নটি পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আবারো ভাঙন শুরু হয়েছে চাঁদপুর সদর উপজেলার রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায়। গত কয়েক দিনের পানি বৃদ্ধির কারণে বহু পরিবার ফসলি জমি ও বসতভিটা হুমকির মুখে পড়েছে। এখনো ভাঙন হুমকিতে রয়েছে ইউনিয়ন পরিষদের উত্তর পাশে, মাল কান্দি, চোকদার কান্দি, ঢালী কান্দি এলাকার পরিবারের বসতবাড়ি ও ফসলি জমি। এতে আতঙ্কের মধ্যেই দিনরাত পার করছেন ভাঙন হুমকিতে থাকা লোকজন। কয়েকবছর পূর্বে একমাত্র সাইক্লোন সেন্টারটিও নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, ইউনিয়ন পরিষদের উত্তর পাশে, মাল কান্দি, চোকদার কান্দি, ঢালী কান্দির কয়েকটি পরিবার তাদের বসতবাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং কেটে নিচ্ছেন জমির গাছ। এদের কেউ কেউ একাধিকবার নদীভাঙনের শিকার হয়েছেন।
ভাঙনের শিকার কয়েকজন বলেন, বেশ কয়েকবার আমারা নদী ভাঙনের শিকার হয়েছে। এখন বসতবাড়ি নদী ভাঙনের মুখে পড়লে আমাদের যাওয়ার মতো কোন জায়গা নেই। নদীতে পানি বৃদ্ধি পেলে ভাঙন বেড়ে যায়। তাই নদীভাঙন রোধে স্থায়ী ব্যবস্থা চান তারা।

ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত হানিফ বলেন, আগেও নদীতে বাড়ি ভাঙছে। নদীর পানি বাইড়া আবারও বাড়ি ভাইঙা যাওনের পথে। আগে ভাইঙা যাওনের পরে অন্যের জায়গায় ঘর তুলছি।

স্থানীয়রা আরো বলেন, ভাঙনে ইউনিয়নের ছয়টি ওয়ার্ডই পদ্মা নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার পথে। নদীর স্রোত এবং অপরিকল্পিতভাবে ড্রেজিংয়ের কারণে আমরা ভাঙন হুমকিতে। সরকার যদি দ্রুত ব্যবস্থা না নেয় তাহলে ভাঙনের মুখে পড়া লোকজন কোথায় আশ্রয় নেবে?

রাজরাজেশ্বর ইউপি চেয়ারম্যান হযরত আলী বেপারী বলেন, উজান থেকে প্রবল বেগে পানি চাঁদপুর হয়ে নদী দিয়ে বঙ্গোপসাগরে প্রবাহিত হওয়ায় রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নের চর এলাকায় মেঘনা ও পদ্মা নদীর মিলনস্থলে প্রচণ্ড ঢেউ এবং ঘূর্ণিস্রোতের সৃষ্টি হয়। পদ্মায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় রাজরাজেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের উত্তর পাশে, মাল কান্দি, চোকদার কান্দি, ঢালী কান্দিসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের দুই শতাধিক পরিবারের বসতভিটা ভাঙন হুমকিতে রয়েছে। এছাড়া গত কয়েক বছরের ভাঙ্গনে একটি নবনির্মিত সাইক্লোনসেন্টার, কয়েকটি গণকবরস্থান, মসজিদ, ঈদগাঁ ও একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। প্রতি বছর নদীর পানি বৃদ্ধি পেলে লিখিতভাবে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানিয়েছি।

ভাঙন
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত