ভূঞাপুরে প্রধান শিক্ষক কর্তৃক শিক্ষিকাকে যৌন হয়রানির প্রতিবাদে মানববন্ধন
প্রকাশ : ১৪ জুলাই ২০২৪, ১৯:৪৬ | অনলাইন সংস্করণ
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে অর্জুনা মহসীন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কর্তৃক সহকারি শিক্ষিকাকে যৌন হয়রানির প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। এসময় স্থানীয়রাও একাত্মতা প্রকাশ করে মানববন্ধনে অংশ নেয়।
রবিবার (১৪ জুলাই) দুপুরে ভূঞাপুর-তারাকান্দি আঞ্চলিক মহাসড়কের উপজেলার অজুর্না মহসীন উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে প্রধান শিক্ষক কাজী জহুরুল ইসলামের কঠোর শাস্তির দাবীতে এই মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়।
গত শনিবার (১৩ জুলাই) অর্জুনা মহসীন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাজী জহুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী ওই শিক্ষিকা প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, শিক্ষা কর্মকর্তা, ভুঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
এদিকে ঘটনার পর থেকেই বিদ্যালয়ে যাচ্ছেন না প্রধান শিক্ষক কাজী জহুরুল ইসলাম। এছাড়া বিদ্যালয়ের দায়িত্ব অন্য কাউকে বুঝিয়ে না দেয়ায় বিদ্যালয়ের সার্বিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষকরা।
অভিযোগে ওই শিক্ষিকা জানিয়েছেন, অজুর্না মহসীন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাজী জহুরুল ইসলাম চাকুরিচ্যুতিসহ বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে যৌন হয়রানি করছে। বিভিন্ন সময় ফোনে ও মেসেস করে অনৈতিক প্রস্তাব দেয়।
অর্জুনা মহসীন উচ্চ বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী জানায়, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক যখন একজন নারী শিক্ষককে যৌন হয়রানি ও কু-প্রস্তাব দেয় সেখানে ছাত্রীরাও নিরাপদ নয়। প্রধান শিক্ষকের অনৈতিক কর্মকন্ডের শাস্তি দাবী জানান তারা।
অর্জুনা মহসীন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জানান, প্রধান শিক্ষক প্রভাব খাটিয়ে ওই শিক্ষিকাকে অনৈতিক সম্পর্কের প্রস্তাব দিয়ে আসছে। বারবার তাকে তার অনৈতিক কার্যকলাপ বন্ধের জন্য বলা হলেও তিনি শুনেননি। উল্টো ওই শিক্ষিকাকে চাকরিচ্যুতি ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয়েছে। প্রধান শিক্ষকের অপসারণসহ শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন করেছেন তারা। সহকর্মীর সাথে যে আচরণ করা হয়েছে তারা ওই ঘটনার উপযুক্ত বিচার দাবি করেন।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও অজুর্না ইউপি চেয়ারম্যান দিদারুল আলম খান মাহবুব জানান, শিক্ষিকাকে যৌন হয়রানির বিষয়টি নিয়ে মিটিং করা হয়েছিল। সেখানে প্রধান শিক্ষক দোষ স্বীকার করে বিদ্যালয় থেকে সরে যাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। তবে তিনি এখনও লিখিত কোন বক্তব্য বা বিদ্যালয় হতে সরে যাননি। এছাড়া বিদ্যালয়েও আসেন না এবং কাউকে দায়িত্বও দেয়নি।