সিরাজগঞ্জে ইউএনওসহ ৫ জনকে বিবাদী করে মামলা
প্রকাশ : ২৯ জুলাই ২০২৪, ১৯:৩৬ | অনলাইন সংস্করণ
স্টাফ রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জ
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধার জন্য বীর নিবাস নির্মাণ প্রকল্পের দরপত্র দেয়া হয় এবং পরবর্তীতে মূল্যায়ন কমিটি ঠিকাদার নির্বাচিত হওয়ার পরও পুনরায় দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার, জেলা ত্রাণ কর্মকর্তাসহ ৫ জনকে বিবাদী করে আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে।
রোববার সকালে সিরাজগঞ্জ যুগ্ম জেলা জজ ১ম আদালতে মামলাটি দায়ের করেন মেসার্স আলিফ এন্টার প্রাইজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক আলিফ বিন আশরাফ।
এ মামলায় বিবাদীরা হলেন- উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও উল্লাপাড়া দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা শাখা। ওই আদালতের ব্রেঞ্চ সহকারী মনিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, আদালতের বিচারক বেগম সুপ্রিয়া রহমান মামলাটি আমলে নিয়ে বিবাদীদের আগামী ২০ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ এবং পূণঃদরপত্র গ্রহণের ওপর স্থিতাবস্থা জারির আদেশ দেন। মামলায় বাদী পক্ষ উল্লেখ করেন, ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রকল্পের আওতায় উল্লাপাড়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আবাসন নির্মাণ (বীর নিবাস) প্রকল্পের জন্য জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয় থেকে দরপত্র আহ্বান করেন এবং ২০২২ সালে ১০মে দরপত্র দাখিল করে বাদীর প্রতিষ্ঠান আলিফ এন্টারপ্রাইজ। যাচাই-বাছাই শেষে লটারির মাধ্যমে ওই বছরের ১৭মে আলিফ এন্টারপ্রাইজকে ঠিকাদার নির্বাচিত করা হয়। শর্ত মোতাবেক নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ বুঝিয়ে দিয়ে ৩০০ টাকা মূল্যের নন জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে চুক্তিনামা সম্পাদন করার কথা। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের টেন্ডারপ্রাপ্ত ৪১-৪৮ ক্রমিকের কাজের চুক্তি সম্পাদন না করে তৃতীয় পর্যায়ে টেন্ডার আহ্বান করা হয়। গত ৩০ জুলাই দরপত্র গ্রহণের শেষ দিন এবং দুপুর ২টায় দরপত্র খোলার তারিখ ও সময় নির্ধারণ করা হয়। এতে বাদীর দ্বারা কাজ সম্পন্ন না করে তৃতীয় দফায় টেন্ডার আহ্বান করায় তার অপূরণীয় ক্ষতির হয়েছে। এ কারণে তৃতীয় পর্যায়ে বীর নিবাস প্রকল্পটি অবৈধ টেন্ডার বেআইনি ঘোষণা করে ডিক্রি দেওয়ার আবেদন জানানো হয়।
উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার সানজিদা সুলতানা সাংবাদিকদের জানান, ২০২২ সালে যখন দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল তখন মেসার্স আলিফ এন্টার প্রাইজ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিল। কিন্তু সে সময় প্রকল্পের বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। এ কারণে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করা হয়নি। সময় পার হওয়ায় এখন নতুন করে প্রকল্পের বরাদ্দ পেয়েছি। এ কারণে নতুন দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। তবে আদালতের আদেশ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।