গাজীপুরের শ্রীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে মাওনা হাইওয়ে থানা ও জেলা পুলিশ বক্সে ব্যাপক ভাঙচুর ও আগুনের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পুলিশের গাড়িসহ সাত-আটটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে পুলিশ। এসময় কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়।
শনিবার দুপুরে ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের মাওনা চৌরাস্তায় এ ঘটনা ঘটে। এর আগে সকাল ১০টায় বিভিন্ন স্কুল-কলেজের কয়েক হাজার শিক্ষার্থী ও জনতা মাওনা চৌরাস্তা উড়ালসড়কের নিচে অবস্থান নেন। সারা দেশে ছাত্র-নাগরিকদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলা চালিয়ে খুনের প্রতিবাদ ও ৯ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন তারা।
আন্দোলনকারীদের সূত্রে জানা গেছে, সকাল ১০টার দিকে শিক্ষার্থীরা মাওনা চৌরাস্তা ফ্লাইওভারের নিচে এসে বিক্ষোভ করতে থাকেন। কিছুক্ষণের মধ্যে তারা বিক্ষোভ নিয়ে ওই এলাকা ছেড়ে গেলে সেখানে উপস্থিত হন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। শিক্ষার্থীরা ফিরে এলে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা পিছু হটেন।
অন্যদিকে ঘটনাস্থল থেকে পূর্ব দিকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থান নেয় পুলিশ। বিক্ষোভ মিছিলের একপর্যায়ে ফ্লাইওভারের নিচে থাকা মাওনা হাইওয়ে থানা-পুলিশ বক্স ও গাজীপুর জেলা পুলিশ বক্সে ভাঙচুর চালানো হয়। মাওনা চৌরাস্তা-শ্রীপুর সড়কে ভাই ভাই সিটির সামনে পুলিশের সঙ্গে তাঁদের সংঘর্ষ হয়। এ সময় সেখানে পুলিশের তিনটি গাড়িসহ আটটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। সূত্রগুলো আরও জানায়, পুলিশের পিকআপ ভ্যান ভাই ভাই সিটি থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় সেটিতে আগুন ধরিয়ে দেয় হামলাকারীরা। এ সময় মাওনা-শ্রীপুর সড়কে পূর্ব দিক থেকে একদল পুলিশ ভাই ভাই সিটির সামনে অবস্থান নেয়। পরে বেলা দেড়টার দিকে আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তারা বেশ কয়েক রাউন্ড কাঁদানে গ্যাসের শেলও ছোড়ে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। এরপর বেলা দুইটার দিকে মাওনা চৌরাস্তায় তিনটি পুলিশ বক্সে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়।
শ্রীপুর থানার ওসি আকবর আলী খান আলোকিত বাংলাদেশকে জানান, শিক্ষার্থীরা আমাদের উপর অ্যাটাক করেছে। থানার তিনটি গাড়ি পুড়িয়ে দিছে। এই মুর্হুতে কথা বলা সম্ভব হচ্ছে না।