ফেনীতে নিহত ৫, সাংবাদিকসহ আহত শতাধিক
প্রকাশ : ০৪ আগস্ট ২০২৪, ১৮:২০ | অনলাইন সংস্করণ
ফেনী প্রতিনিধি
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা সরকার পতনের এক দফা কর্মসূচির সমর্থনে ফেনীতে ছাত্রদের অবস্থান কর্মসূচিতে হামলা চালিয়েছে আওয়ামী লীগ। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (বিকেল ৪টা) এতে ৫ জন নিহত হয়েছেন।আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী, পথচারী ও সাংবাদিকসহ আহত হয়েছেন আরও শতাধিক। ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ফেনী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. আসিফ ইকবাল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
রোববার (৪ আগস্ট) দুপুর দুইটা থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনী অংশের মহিপাল এলাকায় এ সংঘর্ষ শুরু হয়।
নিহত পাঁচজনরা হলেন, ফেনী সরকারি কলেজের অনার্সের শিক্ষার্থী ইশতিয়াক আহমেদ শ্রাবণ, তার বাড়ি ফেনী পৌর এলাকার বারাহীপুরে, ফেনী সদর উপজেলার ফাজিলপুর কলাতলী গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে ছাইদুল ইসলাম, পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ কাশিমপুর এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে শিহাব উদ্দিন, চরমজলিশপুর ইউনিয়নের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে সাকিব ও অন্যজন আরাফাত।
জানা যায়, দুপুর দুইটার দিকে শহরের ট্রাংক রোড থেকে দলবল নিয়ে শহীদ শহিদুল্লাহ কায়সার সড়ক হয়ে মহিপালে যান আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। মহিপাল এলাকায় পৌঁছালে আন্দোলনকারীদের ওপর অতর্কিত গুলি ও হামলা চালায় নেতাকর্মীরা। একপর্যায়ে ক্ষমতাসীন দলের আরেকটি পক্ষ শহরের ইসলামপুর রোডে বিএনপি নেতাকর্মীদের লক্ষ্য করে গুলি ও হামলা করে।
এর আগে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে মহিপাল ফ্লাইওভারের নিচে অবস্থান নেন ছাত্র-জনতা। একপর্যায়ে আন্দোলনকারীদের একটি অংশ মহিপাল ফ্লাইওভারের দক্ষিণাংশে অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করেন। বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা ক্ষমতাসীন দলের বিভিন্ন ব্যানার- ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলেন তারা। সড়ক অবরোধ করায় বন্ধ থাকে যান চলাচল।
হাসিবুল ইসলাম নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে তারা প্রকাশ্যে গুলি নিয়ে এসে হামলা চালিয়েছে। অনেকে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আপাতত আর কিছু বলতে পারছি না।
অন্যদিকে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে বাংলাভিশন টেলিভিশন ফেনী জেলা প্রতিনিধি রফিকুল ইসলাম ও ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশন ফেনী অফিসের ক্যামেরা পার্সন সুলতান মাহমুদ জয়ের মাথায় আন্দোলনকারীদের ছোঁড়া ইটের আঘাতে মাথা ফেটে যায়। পরে তারা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট ফেনী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।
প্রসঙ্গত, আগস্ট ৩ শনিবার সরকার পতনের একদফা দাবি ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এর আগে, রোববার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের ডাকও দেওয়া হয়েছে।