কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করছে। এর প্রেক্ষিতে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নজরধারি ও টহল জোরদার করেছে কোস্টগার্ড।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) রাত সাড়ে আটটার দিকে টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের খুরেরমুখ থেকে দুটি শিশু ও একইসময়ে নোয়াখালীয়াপাড়া সমুদ্রসৈকত থেকে একজন পুরুয় এবং বুধবার (৭ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে সাবরাং ইউনিয়নের বাহারছড়াঘাটের সৈকতে জোয়ারের পানিতে ভেসে আসা আরও দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী।
তিনি জানান, মঙ্গলবার এবং বুধবার ১৯ জনের লাশ মরদেহ করা হয়েছে। উদ্ধার করা মরদেহগুলো স্ব স্ব এলাকায় বেওয়ারিশ হিসেবে দাফনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এদিকে গত ৩ দিনে টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে অনন্ত কয়েক হাজার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, নৌকা যোগে বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে অনুপ্রবেশ করা রোহিঙ্গা অনেকেই কৌশলে ক্যাম্পে প্রবেশ করলেও বিজিবি সদস্যরা কিছু সংখ্যক আটক করেছে। তাদের বিজিবির হেফাজতে রাখা হয়েছে।
এর প্রেক্ষিতে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে টহল এবং নজরদারি জোরদার করেছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড।
বুধবার (৬ আগস্ট) দুপুরে কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সাব্বির আলম সুজন এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমারে চলমান সংঘাতের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত নিরাপত্তায় কঠোর নজরদারী বজায় রেখেছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড। চলমান পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে নাফ নদী ও সেন্টমার্টিন এলাকায় যে কোন প্রকার অবৈধ কার্যক্রম প্রতিরোধে টেকনাফ, শাহপরিরদ্বীপ, বাহারছড়া, সেন্টমার্টিন ও উপকূলীয় অঞ্চলে টহল জোরদার করা হয়েছে। সমুদ্রে সার্বক্ষণিক টহল জাহাজ মোতায়েনসহ নিয়মিত হাইস্পীড বোটের মাধ্যমে টহল পরিচালনা করছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড।
তিনি আরও বলেন, টেকনাফ, শাহপরীরদ্বীপ, বাহারছড়া ও সেন্টমার্টিনে অতিরিক্ত জনবল ও সরঞ্জাম মোতায়েন করে সার্বক্ষণিক পরিস্থতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। যেকোন প্রকার পরিস্থিতি মোকাবেলায় এবং জননিরাপত্তা নিশ্চিতে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে।