দীর্ঘ ২৭ দিন পর রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের ৫৪ টি আন্তঃনগর ট্রেনের মধ্যে ১৫টি ট্রেন আজ বৃহস্পতিবার (১৫ আগষ্ট) থেকে চলাচল শুরু করেছে । বাকি ট্রেনগুলো পর্যায়ক্রমে চলবে।
পশ্চিমাঞ্চল রেলের ঈশ্বরদীর পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) শাহ সুফি নূর মোহাম্মদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সে উপলক্ষ্যে সোমবার ( ১২ আগষ্ট) বিকেল পাঁচটা থেকে আন্তঃনগর ট্রেনের আসনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়। পাকশী রেল বিভাগে ৪০টি ও লালমনিহাট রেল বিভাগের ১৪টিসহ পশ্চিমাঞ্চল রেলে ৫৪টি আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করে। এরমধ্যে ১৫টি বৃহস্পতিবার থেকে চলাচল শুরু করবে। চলাচলের জন্য অনুমোদন পাওয়া ট্রেনগুলো হচ্ছে ৭০৬ একতা এক্সপ্রেস (পঞ্চগড়-ঢাকা), ৭২৫ সুন্দরবন এক্সপ্রেস (খুলনা-ঢাকা), ৭৪৭ সীমান্ত এক্সপ্রেস (খুলনা-চিলাহাটি), ৭৪৮ সীমান্ত এক্সপ্রেস (চিলাহাটি-খুলনা), ৭৬০/৭৬৯ (আপ-ডাউন) পদ্মা এক্সপ্রেস (রাজশাহী-ঢাকা-রাজশাহী), ৭৬৬ নীলসাগর এক্সপ্রেস (চিলাহাটি-ঢাকা), ৭৭০ ধুমকেতু এক্সপ্রেস (রাজশাহী-ঢাকা), ৭৭২ রংপুর এক্সপ্রেস (রংপুর-ঢাকা), ৭৯১ বনলতা এক্সপ্রেস (ঢাকা-চাঁপাইনবাবগঞ্জ), ৭৯৫/৭৯৬ (আপ-ডাউন) বেনাপোল এক্সপ্রেস, (বেনাপোল-ঢাকা-বেনাপোল), ৮০৩ বাংলাবান্ধা এক্সপ্রেস (রাজশাহী-পঞ্চগড়), ৭৯৪/৭৯৩ (আপ-ডাউন) পঞ্চগড় এক্সপ্রেস (পঞ্চগড়-ঢাকা)।
ঈশ্বরদীর পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক (ডিআর এম) শাহ সুফি নূর মোহাম্মদ জানান, বৃহস্পতিবার থেকে পশ্চিমাঞ্চল রেলের ১৫টি আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। বাকি ট্রেনগুলো পর্যায়ক্রমে চালু হবে। ট্রেন ভ্রমনকারী যাত্রীদের সেবা দিতে রেল সব ব্যবস্থা নিয়েছে। আশা করছি নির্ধারিত স্টেশন থেকে যথাসময়ে ট্রেনগুলো যাত্রা শুরু করবে।
উল্লেখ্য, দেশব্যাপী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন গত ১৯ জুলাই থেকে গত ৫ আগস্ট পর্যন্ত আন্তঃনগর ট্রেনের কোচে অগ্নিসংযোগ, কোচের দরজা ও জানালার গ্লাস ভেঙে ফেলার ঘটনা ঘটে। কোটা সংস্কার আন্দোলনের মুখে গত ১৮ জুলাই থেকে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ধাপে ধাপে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়। তবে সরকারের কারফিউ জারির পর ১৯ জুলাই থেকে পুরোপুরি বন্ধ ছিল ট্রেন চলাচল। এর মধ্যে গত ১-৩ আগস্ট পর্যন্ত সীমিত পরিসরে কমিউটার ট্রেন চলাচল করেছে।