খেলা হবে খেলা রাজনীতি মাঠে এমন স্লোগান দেওয়া নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমান শ্রীমঙ্গলে আত্মগোপনে রয়েছেন এমন খবরে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ভানুগাছ রোড এর রাধানগরে অবস্থিত পাঁচ তারকা মানের রিসোর্ট গ্র্যান্ড সুলতান টি রিসোর্ট এন্ড গলফে অবস্থান করছেন এই এমন সংবাদের ভিত্তিতে মুহূর্তের মধ্যেই শত শত মানুষ জড়ো হয়। এতে ওই প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার, কর্মকর্তা কর্মচারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে আশপাশ এলাকায়ও।
খবর পেয়ে স্থানীয় মেয়র মহসিন মিয়া মধুসহ সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।
পরে সেখানে তল্লাশি চালিয়ে শামীম ওসমানকে পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন সেনা সদস্যরা।
বুধবার, দুপুরে শামীম ওসমানের আত্মগোপনের খবর ছড়িয়ে পড়লে সেনাবাহিনী পাঁচ তারকা মানের ওই রিসোর্টটি ঘিরে ফেলে। পরে ভেতরে ব্যাপক তল্লাশি চালানো হয়।
এ সময় রিসোর্টের সামনে অনেক উৎফুল্ল ও সুযোগ সন্ধানী জনতা ভিড় করেন। তবে শামীম ওসমানকে সেখানে পাওয়া যায়নি বলে নিশ্চিত করেছেন শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জের দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনাবাহিনীর মেজর মেজবা।
রিসোর্টের বাইরে অবস্থানরত জনতার উদ্দেশে তিনি বলেন, “গুজবে কান দেবেন না ও গুজব ছড়াবেন না’’। শ্রীমঙ্গল পৌরসভার মেয়র বিএনপি নেতা মহসিন মিয়া মধু বলেন, আওয়ামী লীগের লোকজন ইচ্ছা করে গুজব ছড়াচ্ছেন; যাতে লোকজন এসে গ্র্যান্ড সুলতান ভাঙচুর করে ও সুযোগ সন্ধানীরা লুটপাট করতে পারে। এ সময় তিনি জড়ো হওয়া লোকজনকে রিসোর্টের সামনে থেকে সরিয়ে দেন।
শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিনয় ভূষণ রায় বলেন, ‘আমরা পুলিশ ও সেনাবাহিনী গ্র্যান্ড সুলতান রিসোর্টে গিয়ে তল্লাশি করেছি। এখানে শামীম ওসমান থাকা নিয়ে যে গুঞ্জন উঠেছিলে, তা সম্পূর্ণ গুজব। কিছু মানুষ গ্র্যান্ড সুলতানের আশপাশে জড়ো হয়েছিল। আমরা তাঁদের সরিয়ে দিয়েছি। এখন স্বাভাবিক অবস্থা বিরাজ করছে।’
এ ব্যাপারে গ্র্যান্ড সুলতান টি রিসোর্ট অ্যান্ড গলফের জেনারেল ম্যানেজার আরমান খাঁন জানান, এ প্রতিষ্ঠানটি সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক ব্যক্তি মালিকানাধীন। দেশের এই সংকটময় মুহূর্তে কিছু মহল বিচার বিবেচনা ছাড়াই উস্কানিমূলক পোস্ট করে যাচ্ছেন। পর্যটন শিল্প রক্ষার্থে সবাইকে দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
