পাবনার ঈশ্বরদীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় গুলিবর্ষণ, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এতে দুটি মোটরসাইকেল ভস্মীভূত হয় এবং দুজন আহত হন।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) দুপুর ২টার দিকে উপজেলার পাকশী ইউনিয়নের রূপপুরের কড়ইতলা মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- উপজেলার ভেলুপাড়া এলাকার শফি প্রামাণিকের ছেলে সজল প্রামানণিক ও বাঘাইল এলাকার আব্দুল গাফফারের ছেলে কামরুজ্জামান ফিরোজ। আহত দুজনই স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত ১০ আগষ্ট রাতে সচীন বিশ্বাস সাজু নামে এক ছাত্রদল কর্মী নিহত হন।
এ ঘটনায় নিহতের মা শরিফা বেগম বাদী হয়ে ১৩ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতপরিচয় ৪-৫ জনকে আসামি করে বিএনপি, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার ( ১৫ আগষ্ট) দুপুরে সাহাপুর ইউনিয়নবাসীর ব্যানারে রূপপুর জিগাতলা মোড় থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে কড়ইতলা মোড়ে যাচ্ছিলেন আসামিপক্ষের লোকজন। পথে রূপপুর গোরস্থান এলাকায় পৌঁছালে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ চলাকালে দুটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ ও একটি অটোরিকশা ভাঙচুর করা হয়। এসময় গুলিবর্ষণেরও ঘটনা ঘটে।
বিষয়ে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সদস্য সচিব মেহেদী হাসান বলেন, ‘রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের কারণে মামলায় মিথ্যা আসামি করাটা খুবই নিন্দনীয় ও দুঃখজনক। জনসাধারণের বের করা বিক্ষোভ মিছিলে হামলার ঘটনা আরও বেশি দুঃখজনক।’
উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সুমন বলেন, হত্যা মামলার আসামিদের প্রকাশ্যে ঝাড়ু মিছিল করতে দেখে গ্রামবাসী তাদের ওপর হামলা চালিয়েছেন। পরে মিছিলকারীরা আমার বাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করেন।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। লিখিত অভিযোগ করলে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।