চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা ও ডাকাতিয়া নদীর মোহনায় নৌকা ডুবির ঘটনায় নিখোঁজ নববধূ উম্মে হানিয়া ফাহিমা (২১) ও তার আত্বীয় সেতু (৩০) এর মৃত দেহ নৌ-পুলিশ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে।
শুক্রবার রাতে গৃহবধূ ফাহিমা ও তার আত্বীয় সেতু বেগমের পরিবারের কাছে মৃতদেহ হস্তান্তরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন চাঁদপুর নৌ-পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মুনিরুজ্জামান মনির।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় ভ্রমনে নেমে শহরের পুরাণ বাজার থেকে নৌকা করে বড় স্টেশন মোলহেডে আসার সময় তারা দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।
চাঁদপুর নৌ-পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মুনিরুজ্জামান মনির জানান,
বৃহস্পতিবার বরিশালের ভোলা জেলার মেঘনা নদীতে গৃহবধূ উম্মে হানিয়া ফাহিমা মরদেহ ভেসে ওঠে। অপর নারী সেতু বেগমের লাশ ভেসে উঠে মেঘনা নদীর চাঁদপুর নৌ-সীমানার ইব্রাহিমপুর ইউনিয়নের চরফতেজংপুর এলাকার মেঘনা নদীতে। পরে চাঁদপুর নৌ-পুলিশের মাধ্যমে তাদের লাশ উদ্ধার করে পরিবারের কাছে মৃতদেহ হস্তান্তর করা হয়।চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা ও ডাকাতিয়া নদীর মোহনায় ভ্রমনে নেমে ঘূর্ণাবর্তে নৌকা ডুবে মাঝিসহ ৬জন নিখোঁজ হয়। এর মধ্যে ৪ জন উদ্ধার হলেও নিখোঁজ রয়ে যায় উম্মে হানিয়া ফাহিমা (২১) নামে নববধু ও তার আত্মীয় সেতু বেগম (৩০)।
উদ্ধার হওয়া ব্যাক্তিরা হলেন-নববধু ফাহিমার স্বামী কোরিয়া প্রবাসী নাঈম খান (৩৫), তার বন্ধু মো. মাজহারুল (৩৩), আত্মীয় মুনিয়া (২৬) ও নৌকার মাঝি।
নাঈমের বাবা জাহাঙ্গীর আলম খান বলেন, দুই মাস আগে তার ছেলে প্রবাস থেকে এসে বিয়ে করেন। তারা নৌকা ভাড়া নিয়ে ঘুরতে বেরিয়েছিল। এর মধ্যেই দুর্ঘটনার শিকার হয়। সাজানো সংসার শেষ হয়ে গেলো বলে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন।