ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে এদেশে সরকারের পরিবর্তন হয়েছে। যদি আবারও সেই বৈষম্য সৃষ্টি করা হয় তবে এদেশের মানুষ আবারো আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়বে।
শুক্রবার (১৬ আগষ্ট) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ শহরের ডিআইটি এলাকায় ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান পরবর্তী রাষ্ট্র সংস্কারে পীর সাহেব চরমোনাই ঘোষিত ৯ দফা প্রস্তাবনা বাস্তবায়নে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগরের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত গণ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অন্তবর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন তিনি।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি মাওলানা দ্বীন ইসলামের সভাপতিত্বে গণসমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক কে এম আতিকুর রহমান, কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক মাও. লোকমান হোসাইন জাফরী, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুফতি রেজাউল কারীম আবরার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুফতি ইসমাইল হোসেন সিরাজী, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় সভাপতি, মাওলানা নেছার উদ্দিন, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ এর সেক্রেটারি জেনারেল মুনতাসির আহমদ, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ-এর জয়েন্ট সেক্রেটারি জেনারেল মুফতি মোস্তফা কামাল, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর সহ-সভাপতি যথাক্রমে হাফেজ আমিন উদ্দিন ও মুহা. নুর হোসেন, জেলা ও নগর সেক্রেটারি যথাক্রমে জাহাঙ্গীর কবির ও সুলতান মাহমুদ, জয়েন্ট সেক্রেটারি যথাক্রমে হাজী আমান উল্লাহ ও ডা. সাইফুল ইসলাম, জেলা ও নগর সাংগঠনিক সম্পাদক যথাক্রমে ফারুক আহমেদ মুন্সী ও মাও. শামসুল আলম, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর সভাপতি যথাক্রমে মুহা. ওমর ফারুক ও মাওলানা হাবিবুল্লাহ হাবিব, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর সাধারণ সম্পাদক যথাক্রমে মাও. আব্দুর রশিদ ও মাও. মুহা. আনোয়ার হোসেন, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি যথাক্রমে মুহা. আশররাফ ও ওমর ফারুক, জাতীয় শিক্ষক ফোরাম নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর সভাপতি মাওলানা রেজাউল করিম ও গাজী আলতাফ হোসেন, ওলামা মাশায়েক আইম্মা পরিষদের জেলা সাধারণ সম্পাদক মুফতি আল আমিন ও নগর সভাপতি মাওলানা শাহজালাল। শহর শাখার সভাপতি আ. সোবহান, সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সভাপতি মুহা. বিল্লাল হোসেন ও বন্দর থানার সভাপতি আবুল হাসেম প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চাই। সংখ্যানুপাতিক হারে নির্বাচন হতে হবে। যদি পিআর সিস্টেমে নির্বাচন হয় তাহলে পেশী শক্তি আর ব্যাবহার করতে পারবে না। টাকা দিয়ে ভোট কিনতে পারবে না। কোন জুলুম, খুন, কেন্দ্র দখল থাকবে না। মার্কায় ভোট দিবেন। যেই মার্কা যত ভোট পাবেন সেই পার্সেন্টিজ অনুযায়ী সকল প্রতিনিধি সংসদে যাবে এবং প্রতিনিধিত্ব করবে। যদি সকল দলের আংশগ্রহনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় তাহলে এদেশের সকলের প্রতিনিধিই সংসদে যাবে। সম্মিলিতভাবে দেশ পরিচালিত করা যাবে তখন সেটা গণমানুষের সংসদ হবে। গণমানুষের জন্য কাজ হবে সেই সংসদ থেকে।
তিনি আরও বলেন, স্বৈরাচার পতন আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন, বিভিন্ন হত্যাকান্ডে যারা জড়িত, অন্যায়ভাবে যারা মানুষকে কারাবন্দী করে আয়না ঘরে নির্যাতন করেছে তাদের বিচার করতে হবে। আগামীতে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে হবে।