বিশ্বব্যাপি ছড়িয়ে পড়েছে মাঙ্কিপক্স প্রাদুর্ভাব। ভাইরাস নিয়ে যাতে কেহ দেশে প্রবেশ করতে না পারে এজন্য দেশের নৌ বিমান সমদ্র ও স্থলপথে সতর্কতা জারি করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এর প্রেক্ষিতে বেনাপোল স্থলবন্দরের চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনে মাঙ্কিপক্স রোধে সতর্কতা জারি করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এজন্য ৭সদস্যের একটি মেডিকেল টিম কাজ করছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা মেডিকেল অফিসার ডা. মরিয়ম খন্দকার।
তিনি জানান, ভারত থেকে ফেরা পাসপোর্ট যাত্রীসহ বিদেশ থেকে আসা সন্দেহ ভাজন যাত্রীদের গতিবিধি লক্ষসহ প্রবেশমুখে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছেন তারা। থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে দেখা হচ্ছে তামমাত্রা। উপসর্গ নিশ্চিতে চোখ হাত ও পা দেখছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। একজন মেডিকেল অফিসার ২জন উপসহকারি মেডিকেল অফিসারসহ ৭ সদস্যের মেডিকেল টিম কাজ করছেন বেনাপোল ইমিগ্রেশনের স্বাস্থ্য বিভাগে।
এদিকে মাঙ্কিপক্স ভাইরাস নিয়ে জরুরি সতর্কতা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এ ছাড়া রোগের সংক্রমণ নিয়ে বিশেষ সতর্কতা জারি করেছে বেনাপোল ইমিগ্রেশনের স্বাস্থ্য বিভাগ। তবে পরীক্ষা করা হচ্ছে না ভারত থেকে আমদানিকৃত পণ্যবোঝাই ট্রাক চালক ও হেলপারদের। কোনভাবেই তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে না।
বেনাপোল ইমিগ্রেশনে প্রতিটা পাসপোর্টধারী যাত্রীকে পরীক্ষা করা হচ্ছে। তবে সংক্রমক এই ভাইরাস আতঙ্কে আতঙ্কিত ভারত ফেরত পাসপোর্ট যাত্রীরাও। আতঙ্ক থেকে দূরে নেই বেনাপোল ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট স্বাস্থ্য বিভাগ ইমিগ্রেশন, কাস্টমস ও বন্দরের কর্মকর্তা কর্মচারীরা।
ভারত ফেরত যাত্রীরা বলেন, মাঙ্কিপক্স রোগের বিষয়ে ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশনে কোনও যাচাই-বাছাই বা পরীক্ষা করেনি। বাংলাদেশে প্রবেশের পর স্বাস্থ্য ডেস্কে আমার হাত-পায়ে কোনও র্যাশ (চামড়া ফোলা/ চুলকানি) আছে কিনা পরীক্ষা করেছে।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজহারুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া মাঙ্কিপক্সের ব্যাপারে বেনাপোল ইমিগ্রেশনের সকল কর্মকর্তা এবং ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে যাতায়াতকারী সকল যাত্রীকে সতর্ক করা হচ্ছে। পাশাপাশি ইমিগ্রেশনে দায়িত্বরত স্বাস্থ্য বিভাগের ডাক্তাররাও সকল যাত্রীকে স্ক্যানিং করে যাচাই-বাছাই করছেন।