কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে সাবেক রাস্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের ভাই মিঠামইন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ আবদুল হক নূরু, বোন মিঠামইন উপজেলা পরিষদেরর সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান আছিয়া আলম, ভাতিজা মিঠামইন সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শরিফ কামালসহ ৯২ জনকে আসামি করে দুটি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় অজ্ঞাত আরও শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
গত ৫ আগস্ট দুপুরে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিজয়মিছিলে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের হামলার অভিযোগ এনে ১৭ আগস্ট মামলা দুটি করেন মিঠামইন উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক ইমরান হোসেন (জেরি) এবং উপজেলা বিএনপির সভাপতি জাহিদুল আলমের (জাহাঙ্গীর) ভাতিজা ফারহান সিকদার। প্রথম মামলায় ৪৭ জন এবং দ্বিতীয় মামলায় ৪৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।
মিঠামইন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব মামলা দুটির তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
প্রথম মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট বিকালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশত্যাগের খবরে মিঠামইন উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা বিজয়মিছিল বের করেন। মিছিলটি বিএনপি কার্যালয়ের সামনে আসার পরই বিপরীত দিক থেকে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে এসে তাদের উপর হামলা চালান। এসময় মিঠামইন উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক ইমরান হোসেনসহ অনেক নেতা-কর্মী আহত হন।
দ্বিতীয় মামলার এজাহারে উল্ল্যেখ করা হয়, ওই দিন বিএনপির মিছিলে হামলা চালিয়ে ফেরার পথে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা উপজেলা বিএনপির সভাপতি জাহিদুল আলমের বড় ভাই শাহরিল আলমের পাঁচফোড়ন নামের খাবারের হোটেলে প্রবেশ করে ভাঙচুর ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান। এসময় শাহরিল আলমকে মারধর করে ক্যাশ থেকে ৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা নিয়ে যান হামলাকারীরা।
আসামীরা পলাতক থাকায় এ দুটি মামলায় কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তবে, গ্রেফতার অভিযান অব্যহত আছে বলে জানান ওসি আহসান হাবিব।