নরসিংদীর রায়পুরার চরাঞ্চল শ্রীনগর ইউনিয়নের সায়দাবাদ গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুলি ও টেঁটাবিদ্ধ হয়ে ৫ জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আরো অন্ততঃ অর্ধশতাধিক লোক গুলি ও টেঁটাবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সকালে উপজেলার চরাঞ্চলের শ্রীনগর ইউনিয়নের সায়দাবাদ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- বাঘাইকান্দি গ্রামের শাহাবুদ্দিনের স্ত্রী ফিরোজা বেগম (৫০), সায়দাবাদ গ্রামের শাহীন মিয়ার ছেলে সায়দাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর ছাত্র জুনায়েদ মিয়া (১৬), একই এলাকার আব্বাস আলীর ছেলে আনিস মিয়া (৩০), ইসমাইল বেপারীর ছেলে আমির হোসেন (৭০) এবং ঢাকা নেয়ার পথে নোয়াব মিয়ার ছেলে তোফাজ্জল (৩০) মারা গেছে।
এ ঘটনায় আহতদের রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, নরসিংদী জেলা ও সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। গত বুধবার (২১ আগস্ট) রাত ১০ টা রাতভর সংঘর্ষ চলে। পরে বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) বেলা ১১টা পর্যন্ত দু’পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে টেঁটা ও বন্ধুক যুদ্ধ চলে।
সংঘর্ষে উভয় পক্ষের আহতরা হলো- আসমত আলীর ছেলে আলী আকবর (৩৮), মহন মিয়ার ছেলে তোফাজ্জল (২৫), মাঈনউদ্দিনের ছেলে সায়মন (১৪), শাহাআলমের ছেলে মাসুদ (২৩), মৃত দারু মিয়ার ছেলে জসিম মিয়া, মৃত ইউনূছ মিয়ার ছেলে আমির হোসেন (৫০), সম্ভু মিয়ার ছেলে আব্বাস আলী (৫০), শাহ আলমের ছেলে ইমরান (২৩), সুলতান মিয়ার ছেলে শহিদ মিয়া (৭০), বনি মিয়ার ছেলে এরশাদ মিয়া (৪০), বাচ্চু মিয়ারে ছলে জয় (১৯), আয়নুল মিয়ার ছেলে শাহারাজ (২২), বজলু ফকিরের ছেলে তাজুল ইসলাম (৩৮), মালেক মিয়ার ছেলে মাসুম মিয়া (১৯), জামাল মিয়ার ছেলে ইদন মিয়া (২৩), মৃত সব্দর আলীর ছেলে মনসুর আলী (৫০), মজিদ মিয়ার ছেলে দুলাল মিয়া (৬০), আবির মিয়ার ছেলে সৌরভ আলী (৩৫), ফরিদ মিয়ার ছেলে আয়মান (২০), আসাদের ছেলে সানজিদ (১৮), গিয়াস উদ্দিনের ছেলে তানভির (২০), আতাবর হোসেনের ছেলে সোহান মিয়া (২০), জাবিন মিয়ার মেয়ে তানজিনা (১৯), মানিক মিয়ার ছেলে সোহাগ মিয়াসহ (২১) প্রায় অর্ধশত।
স্থানীয়রা জানায়, শ্রীনগর ইউনিয়নের সায়দাবাদ ও বালুচর এলাকাবাসীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছিলো। এরই অংশ হিসেবে বুধবার (২১ আগস্ট) রাত থেকেই দু-পক্ষের মধ্যে টেঁটা ও গুলি বর্ষণসহ সংঘর্ষের ঘটনা চলতে থাকে। সকালে গোলাগুলির এক পর্যায়ে দুপক্ষের চারজন নিহত হয়। এছাড়া অন্ততঃ অর্ধশতাধিক আহত হয়েছে।
রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. খান নুরউদ্দিন মো. জাহাঙ্গীর বলেন, চার জনের মরদেহ রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আছে।
রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাফায়াত হোসেন পলাশ বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্রকরে দু-পক্ষের সংঘর্ষের সময় চারজন নিহত হয়েছে। এসময় বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ঘটনাস্থলের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কাজ করছে। তবে ঢাকায় নেয়ার পথে একজন মারা গেছে বলে শোনা যাচ্ছে।