এলাকায় আধিপত্য ও মাছের ঘের দখল নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে জেলার উজিরপুর উপজেলার সাতলা বাজারের ফিড ব্যবসায়ী ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ইদ্রিস হাওলাদার ও তার চাচাতো ভাই সাগর হাওলাদারকে কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা।
রবিবার সকালে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে উজিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ জাফর আহমেদ বলেন, ঘটনার পর পরই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের জন্য কাজ শুরু করেছেন।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। নিহত দুইজনের লাশ মর্গে রয়েছে।
সূত্রমতে, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও সাতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহিন হাওলাদার, যুবলীগ নেতা আসাদ হাওলাদার এবং ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস হাওলাদারের বিরুদ্ধে দায়ের করা একাধিক মামলার বাদী ছিলেন নিহত ইদ্রিস হাওলাদার। মৎস্য ঘেরে হামলা ও লুটপাটের মামলায় প্রায় চার মাস আগে বিএনপি নেতা ইলিয়াস হাওলাদার, তার ভাই ইউপি চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার ও আসাদ হাওলাদার জেলহাজতে ছিলেন।
নিহতদের পরিবারের অভিযোগ মামলার আসামিরা দুইজনকে কুপিয়ে হত্যা করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার দিবাগত রাত ১০টার দিকে নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে ইদ্রিস হাওলাদার তার চাচাতো ভাই সাগর হাওলাদারকে নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে সাতলা ব্রিজের পশ্চিমপাড় অতিক্রমকালে সন্ত্রাসীরা তাদের গতিরোধ করে দুইজনকেই এলোপাথরিভাবে কুপিয়ে মৃত ভেবে ফেলে রেখে যায়।
ওইদিন রাতেই স্থানীয়রা মুমূর্ষ অবস্থায় ইদ্রিস হাওলাদার ও তার চাচাতো ভাই সাগর হাওলাদারকে উদ্ধার করে প্রথমে আগৈলঝাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতেই ইদ্রিস হাওলাদার মৃত্যুবরণ করেন। গুরুত্বর আহত সাগর হাওলাদার রবিবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
নিহত ইদ্রিসের স্ত্রী রেশমা খানম অভিযোগ করেন, গত কয়েকদিন ধরে মাছের ঘের নিয়ে বিরোধের জের ধরে ইদ্রিস হাওলাদারের দায়ের করা মামলার আসামিরা তাকে (ইদ্রিস) হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিলো। ধারনা করা হচ্ছে ওই ঘটনার জেরধরেই তার স্বামী ও দেবরকে পরিকল্পিতভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।