‘বিরোধী মতকে দমনের জন্য আয়না ঘর সৃষ্টি করেছিলো হাসিনা সরকার’  

প্রকাশ : ২৫ আগস্ট ২০২৪, ২৩:২০ | অনলাইন সংস্করণ

  মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি

শেখ হাসিনা বিরোধী মতকে দমন করার জন্য আয়না ঘরের সৃষ্টি করেছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় কমিটির নায়েবে আমীর শায়খুল হাদিস আহমদ আলী কাসেমী। তিনি বলেন, সেখান দীর্ঘদিন রেখে অনেককেই হত্যা করা হয়েছে। যারা ফিরে এসেছে তারা জানিয়েছে সেখানে তাদেরকে ভয়ংকরভাবে নির্যাতন করা হয়েছে।

স্বৈরাচারী খুনি হাসিনার শাসনামলে সংগঠিত সকল গুম, খুন, গণহত্যা, দূনীতি, লুটপাট অর্থপাচারের বিচারের দাবি এবং দেশবিরোধী যড়যন্ত্র, ভারতীয় পানি আগ্রাসন ও অসম পানি বন্টনের প্রতিবাদ এবং ১৫ দফার দাবিতে রবিবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে মানিকগঞ্জ খেলাফত মজলিস ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে শহরের শহীদ স্মৃতি স্তম্ভের সামনে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

নায়েবে আমীর আরও বলেন, সরকার ছিলো ভারতের একধরনের গোলামী সরকার। ভারত গত তিন তিনটি নির্বাচনে শেখ হাসিনাকে নিলর্জ্জ ভাবে সমর্থন করার কারনে ভোটার বিহীন নির্বাচন করে তিন বার অবৈধ ভাবে ক্ষমতায় থাকার সময় খুন গুম করে মানুষকে আয়না ঘরে নিয়ে নির্যাতন করেছে।

তিনি বলেন, আমরা শুনেছি ইতিমধ্যে অনেক এমপি মন্ত্রী বিদেশে পাড়ি জমিয়েছে। আবার অনেকে আত্মরক্ষার জন্য আন্ডারগাউন্ডে আছে। তাই আমদের আন্দোলন এখনো শেষ হয়ে যায়নি। খুনি হাসিনা ও তার দোসরদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। জনগণের দাবী বাস্তবায়নের জন্য আগামীতে মুহাদ্দিস মাওলানা শেখ মোহাম্মদ সালাহউদ্দিনকে মানিকগঞ্জ-২ আসনে খেলাফত মজলিসের প্রার্থী ঘোষণা করেন নায়েবে আমীর। এসময় তিনি আন্দোলন সফল এবং শেখ হাসিনাকে বিতাড়িত করার জন্য বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতাকে অভিনন্দন জানান।

সমাবেশে খেলাফত মজলিসের জেলা সভাপতি মাওলানা মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম ফরায়েজির সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় মজলিসের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা শেখ সালাহ উদ্দিন বলেন, শেখ হাসিনা পালিয়ে যাবেনা বলে কথা দিয়েও কথা রাখেনি। সে পালিয়ে গেছে। তিনি বলেন,  সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আরাফাত, কামাল, নওফেল, আনিসুল হক, সালমান এফ রহমানসহ যারা এই গণহত্যার দোসর তাদের বিচার বাংলার মাটিতে করতে হবে। বিচারমতি মানিক পাগল সেজে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু এ দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে পারে নাই, ছাত্রদের চোখ ফাঁকি দিতে পারে নাই। এসময় তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালেই হাসিনাসহ গণহত্যাকারীদের বিচার করতে হবে। এসময় তিনি ভারতের অসম পানিবণ্টন ও বাঁধ খুলে এদেশে ভোগান্তি তৈরি করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। 

এসময় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, দলের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা শামসুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মো.  আবুবক্কর, যুব মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি অ্যাডভোকেট তাওহিদুল ইসলাম তুহিন, জেলা নেতা দেওয়ান আব্দুল হান্নান, যুব মজলিসের জেলা সভাপতি দেওয়ান তানজিল আহাম্মেদ, শ্রমিক মজলিসের সভাপতি মাওলানা জাবের আল সাফা, জেলা যুব মজলিশের সাংগঠনিক সম্পাদক ওমর ফারুক, হরিরামপুর উপজেলা সভাপতি মাওলানা ফয়সাল আহমেদ প্রমুখ।

সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল শহর প্রদক্ষিণ শেষে মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে পূনরায় একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।