নাটোরে সাবেক এমপি শিমুলসহ ১৩৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

প্রকাশ : ২৬ আগস্ট ২০২৪, ১৬:২৫ | অনলাইন সংস্করণ

  নাটোর প্রতিনিধি

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে নাটোরে গার্মেন্টস ব্যবসায়ী মেহেদী হাসান রবিনকে (২৮) তুলে নিয়ে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় নাটোর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলসহ ১৩৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সোমবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে নিহতের মামা সোহেল রানা বাদী হয়ে নাটোর সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

নাটোর সদর থানার এসআই মোস্তফা কামাল মামলার বিষয়টি ঢাকা মেইলকে নিশ্চিত করেছেন।

এ মামলায় আসামিরা হলেন- ২ নম্বর আসামি মীর আমিরুল ইসলাম জাহান (৫৮),  শরিফুল ইসলাম রমজান (৫৫), মোঃ সিরাজুল ইসলাম (৭০),  শরিফুল ইসলাম শরীফ (৬৮), উমা চৌধুরী জলি (৫৫), সৈয়দ মোর্তোজা আলী বাবলু (৫৪), ৮। সৈয়দ মোস্তাক আলী মুকুল (৫০), সৈয়দ ফিরোজ (৪২), সিরাজুল ইসলাম সিরাজ (৫৮),  টাইকা জেমস (৫৮),  হাসিব (৫২),  আব্বু বিহারী (৬২),  জাহিদুর রহমান জাহিদ (৫৫),  জামিল হোসেন মিলন (৪২),  বাবুল আখতার, রাজকীয় মজিবর (৬৮),  মোঃ সায়েম হোসেন উজ্জল (৪৫),  চিত্তরঞ্জন সাহা (৬২), সুজিত সরকার (৫৩),  মোস্তারুল ইসলাম আলম (৪৯),  রতন প্রামানিক (৩৫),  নয়ন সরকার (২৫), আরিফুর রহমান মাসুম (৫২),  আকরাম হোসেন ওরফে পি. এস আকরাম (৪৫), আরিফুল ইসলাম সানি (৩২), নাঈম (২২),  মলয় কুমার রায় (৪৭),  ময়েজ সরকার (৪৮), বাসিরুর রহমান খান এহিয়া চৌধুরী (৫৮), নিজাম (৪৫) কুরবান (৫৫),  সাব্বির (২৫),  আজিম (৪৮), ।রানা (৩০),  রুবেল (২৯), সাজেদুল ইসলাম সাগর (৩৯), রিপন (৩৪), বিপ্লব (৪০),ভেদা মেম্বার (৬৮), বাচ্চু (৩৮), সামাদ (৪০),  সোহেল (২৫),  সাখাওয়াত (২৮), রাশিদুল ইসলাম কোয়েল (৩৪), কালাম হোসেন (৩২), দুউসুফ (৩২), আমিনুল ইসলাম আজম (৬২), শাজাহান (৩৮), সোহেল ওরফে বিচি পাকা সোহেল (৩৬), হাসান (৩৮), শরিফ (৪০), জীবন (৩৫),  রুস্তম মিয়া (৪৮),  প্রিন্স (৩২), বিদুৎ (৫৫), হাগা রানা (৩৮),  মনির হোসেন (৩৬), সাইফুল ইসলাম (৩১), রবি (৩২), রবিন (২৮), সুমন (৩০),  বাবু (৩৩),  আমিরুল ইসলাম জনি (৪০), সবুজ (৩৪), মোহন (৩৪), গোলাম কিবরিয়া ওরফে কুত্তা সেলিম (৩২), রনি (৩১), মোটা বাপ্পি (৩২),  নাজমুল ওরফে হাড্ডি বাপ্পী (৩৭),  আসাদ্দুজ্জামান আসাদ (৪৩),  মীর নাফিউল ইসলাম অন্তর (৩৪), ঘোলানী কাজল (২৪),  বাটু সাইফুল (৪৫), হাবিবুর রহমান চুন্নু (৫৮), হীরা (২৯),  সিডু (৩২), রিফাত (২৬), ইমরান (৩২),  কামরুল (৩৫),  উল্লাস (৩১),  আকিব চৌধুরী (৩০),  সাজ্জাদ হোসেন তপন (৩৪),  টাইক্যা মাসুদ (৫৬), দিলীপ কুমার দাস (৬০), কানন (২৮),  সজিব (৩২),  মোহাম্মদ আলী (৩৫), বাবু (৩০), রাজু (৪২), আশফাকুল ঠিকাদার (৫৮),  ঠিকাদার মীর নতুন (৫৭), রাশেদ। (৩০),  দিপু (২৬),সেন্টু (৩৮), ফিটিং শাহীন (৩৫), রশিদ মিয়া (৪৫), ঝাউলি জনি (৩০), কালিয়া (৪০), শাওন (৪০),  ফরহাদ বিন আজিজ (২৫),  ফরহাদ হোসেন (৪৮), এ্যাডঃ আরিফ সরকার (৬৪),  হাসিবুল ইসলাম শান্ত (৩৮),  নাজমুল (২৭), রিয়াজুল ইসলাম মাসুম (৩৫),  নান্নু শেখ  (৫১), জিল্লুর রহমান আলমগীর (৫৬), বুলবুল (৩৫), স্বাধীন (৩১),  হামিদ (৩২),  সাদাত (৩০), রুবেল (৩০), জিম (২৬), সেলিম (৪৫),  সাইদুল (২৮), মুন্না (২৮), কোহিনুর বেগম পান্না কাউন্সিলর (৫৬),  রাসু (২৮),  পারভেজ মোল্লা (৪০), সোহান (৩৫),  সাইফুল ইসলাম (৫০), আমিন মৃধা (৬০), শাপলা (৫৮),  ফর্সা রানা (৩০), আল আমিন (২২),  মামুন মল্লিক (২৩), সজিব (৩২), টুটুল, শাহীন ভূঁইয়া (৪০), গবিন্দ (৪০),  মোঃ রাব্বি (৫৫),  মিঠুন চৌধুরী (৩৭),  মোঃ সোহেল ফয়সাল ওরফে মুরগী সোহেল (৪৮),  মোঃ জামাল গাজী (৬৫), মোঃ শাহ আলম দুখা মেম্বার (৩৩) এবং মোয়াজ্জেম হোসেন মিঠু (৫০)।

 

মামলার বাদী সোহেল রানা জানান, আমার ভাগিনা মেহেদি হাসান রবিন একজন গার্মেন্টস ব্যবসায়ী। সে কোটা বিরোধী আন্দোলনের পক্ষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোষ্ট দেওয়ায় ও কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ায় গত (৫ আগস্ট) ১ নম্বর আসামির নির্দেশে অন্য আসামিরা তাকে শহরের উত্তর বড়গাছা বড়মোড় এলাকা থেকে বাইকযোগে তুলে নিয়ে গিয়ে যায়। এরপর তাকে ১ নম্বর আসামি শফিকুল ইসলাম শিমুলের কান্দিভিটুয়া এলাকার জান্নাতি প্যালেসের দ্বিতীয় তলায় একটি ঘরে আটকে রাখে। সেখানে আসামিরা ওই ঘরে আগুন জ্বালিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। এসময় মেহেদী হাসান রবিনকে পোড়া অবস্থায় উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থান অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে ভর্তি করি। সেখানেই ৭ আগস্ট ভোর ৪টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। পরবর্তীতে সার্বিক পরিস্থির কারণে পুলিশের কর্মবিরতি থাকায় থানায় মামলা করতে পারিনি বলে জানান।