মাদারীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে তাওহীদ সন্নামাত নিহতের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও মাদারীপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাজাহান খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা ৮ আসেনর সাবেক সংসদ সদস্য আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাছিমসহ ৯২ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে।
সোমবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএইচ সালাউদ্দিন।
নিহত তাওহীদ সন্ন্যামাত মাদারীপুর সদর উপজেলার মোস্তফাপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সুচিয়ারভাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।
এ মামলায় শেখ হাসিনা ছাড়াও আসামী করা হয়েছে মাদারীপুরের সাবেক চার সংসদ সদস্যকে। তারা হলেন শাজাহান খান, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, আবদুস সোবহান গোলাপ ও নূর-ই আলম লিটন চৌধুরী। এছাড়া অন্য আসামীদের মধ্যে আছেন মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক কাজল কৃষ্ণ দে, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মুনীর চৌধুরী, সাবেক মাদারীপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও শাজাহান খানের ছেলে আসিবুর রহমান খান, সাবেক পৌর মেয়র খালিদ হোসেন ইয়াদসহ জেলা ও উপজেলা আওয়ামীলীগের একাধিক নেতা-কর্মীদের আসামী করা হয়। এতে অজ্ঞাত আসামী রয়েছে আরোও ৫০০ থেকে ৭০০ জন।
মামলা সুত্রে জানা যায়, গত ১৯ জুলাই মাদারীপুর পৌর শহরের যুব উন্নয়ন অফিসের সামনে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, পুলিশ ও কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়। এতে মাদারীপুর সদর উপজেলার মোস্তফাপুর ইউনিয়নের সুচিয়ারভাঙ্গা গ্রামের সালাহউদ্দিন সন্নামাতের ছেলে তাওহীদ সন্নামত যোগ দেয়। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন তাওহীদ। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে সরকারের ভয়ে রাতেই পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। হাসিনা সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন সময় এই বিষয় নিয়ে কথা বলতেও ভয় পেতেন তারা। এ ঘটনায় মাদারীপুর জেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব কামরুল হাসান বাদী হয়ে রোববার রাতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএইচ সালাউদ্দিন বলেন, কামরুল হাসান নামে এক ব্যক্তি মামলাটি দিলে রোববার রাতে গ্রহণ করা হয়। এতে ৯২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৭০০ জনকে আসামী রয়েছে। এবিষয়ে আইনগতভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।