সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রীসহ ৪ এমপির বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

প্রকাশ : ২৭ আগস্ট ২০২৪, ১৯:৪২ | অনলাইন সংস্করণ

  লালমনিরহাট প্রতিনিধি

সাবেক দুই মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও দুই সাবেক সংসদ সদস্যসহ ৩৭ জনের নামে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাত আরও ২০০-৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত মিরাজুল ইসলামের বাবা আব্দুস সালাম রোববার মমলাটি করেন। সোমবার রাতে এ তথ্য জানিয়েছেন তিনি। 

যাত্রাবাড়ী থানার ওসি মোহাম্মদ মাইনুল ইসলাম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ৩৭ জনের নামে মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ৪ জন সংসদ সদস্য রয়েছেন।

মামলায় উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- লালমনিরহাট-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, লালমনিরহাট-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেন, লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক, লালমনিরহাট-৩ (সদর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান, সংরক্ষিত আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট সফুরা বেগম রুমি।

অন্য আসামিরা হলেন- মোফাজ্জল হোসেন মোফা, হাবিবুর রহমান হাবিব, গোলাম ফারুক বসুনিয়া, এ্যাডভোকেট সরিফুল ইসলাম রাজু, এ্যাডভোকেট রকিবুল ইসলাম খান রকু, কাজী নজরুল ইসলাম তপন, সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রীর এপিএস ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান মিজান, আমিনুল খান, যুগ্ম সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন সুমন খান, তহমিদুল ইসলাম বিপ্লব, আব্দুস সোহরাব হোসেন, মো. মনসুর আলী, সিরাজুল ইসলাম খন্দকার রানা, সুমন সওদাগর, সবুজ মিয়া, সরওয়ার আলম, সুমন সওদাগর, আতিকুল ইসলাম, মিজানুর রহমান, সাজু মিয়া, রুবেল মিয়া, মো. লাকু, পিন্টু মিয়া, শেফাউল, সজীব, গোলাম মোস্তাফা স্বপন, আহসান হাবীব লাভলু, মিলন হোসেন, আব্দুর রাজ্জাক সুমন, রফিকুল আলম, সাজেদা রহমান সাজু, সালেকুজ্জামান চয়ন ও শাওন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, শিক্ষার্থীদের দেশব্যাপী চলমান বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন দমন করতে লালমনিরহাটের আদিতমারী মহিষখোচা গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে মিরাজুল ইসলাম অংশগ্রহণ করে। পরে লালমনিরহাটের চার সংসদ সদস্যসহ বাকি আসামিরা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন দমন করতে দেশীয় অস্ত্র ও পিস্তল নিয়ে আক্রমণ চালায়। এতে মিরাজুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হলে তাকে উদ্ধার করে ডেল্টা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকের অভাবে অপারেশন না হওয়ায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়।