পটিয়ায় যুবলীগ নেতার নেতৃত্বে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে এক বিধবা গৃহিনীকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখমের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে পটিয়া উপজেলার কোলাগাঁও ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ বাণীগ্রামের মুকিম সর্দারের বাড়িতে। এ ঘটনায় আহত গৃহিনী শাহীন আকতার (৪৮) বাদী হয়ে পটিয়া থানায় প্রতিপক্ষ কোলাগাঁও ইউনিয়ন যুবলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি দিদারুল আলম, আইয়ুব আলী, নুরুল হকসহ অজ্ঞাতনামা ৫/৬জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিবাদীগণ বিভিন্ন তারিখ ও সময়ে গৃহিনীর স্বামীর মৌরশীয় জায়গা জোরপূর্বক দখল করার জন্য নানাভাবে পায়তাঁরা করে আসছিল। এ নিয়ে বিবাদীগণ বাদীকে ও পরিবারের সদস্যদের মারধরসহ বিভিন্ন হুমকি ধমকি প্রদান করা আসছিল।
এ বিষয়ে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের মাধ্যমে বৈঠক করলে বিবাদীগণ বৈঠকে না এসে বাদীকে গালমন্দ করে প্রাণনাশের হুমকি দেন। এরই ধারাবাহিকতায় ২৯ আগষ্ট বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার সময় বিবাদীগণ দেশীয় অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বাদীর স্বামীর মৌরশীয় জায়গার উপর রান্নাঘর ও বাথরুম নির্মাণ কাজে বাধা দিলে প্রতিপক্ষগণ বাদীকে কে ঝাপটাইয়া ধরে এলোপাতারী মারধর করে। এক পর্যায়ে গাছের বাটাম দিয়ে গৃহিনীকে প্রাণে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় আঘাত করে। এসময় এক ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন ছিনতাই করে নিয়ে যায়। এসময় মোঃ মহিউদ্দীন (২৩), গৃহিনীর মেয়ে কামরুন নাহার (১৭) কে মারধরে করে।
মামলার বাদী গৃহিণী শাহীনা আকতার জানিয়েছেন, শ্লীলতাহানির অভিযোগ করার পর বিবাদীরা বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিচ্ছে। আমার ছেলে ও মেয়েকে হত্যা, গুম করবে৷ বিষয়টি আমি থানা পুলিশকে জানিয়েছি। বর্তমানে আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনায় রয়েছি।
পটিয়া থানার এসআই ইয়ামিন সুমন জানিয়েছেন, জায়গার বিরোধের জের ধরে গৃহিনীর মাথায় প্রতিপক্ষ আঘাত করেছে। থানায় দায়েরকৃত একটি অভিযোগ তদন্ত করা হচ্ছে। ঘটনার সত্যতা পেলে বিবাদীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।