সাতক্ষীরার দেবহাটায় দুই শিবিরকর্মীকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী, সাবেক এসপিসহ ৬২ জনের নামে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি দেবহাটা থানার ওসিকে এজাহার হিসেবে রেকর্ড করার নির্দেশনা দিয়েছেন।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সাতক্ষীরার বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি ৭ নম্বর আদালতে নিহত মারুফ হোসেনের ভাই মোকফুর হাসান বাদী হয়ে এ মামলা করেন। বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় এজাহার হিসেবে গণ্য করার নির্দেশ দিয়েছেন।
জানা গেছে, যৌথবাহিনীর সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে দুই শিবিরকর্মী হত্যার ঘটনায় ৬২ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলার আসামিরা হলেন- সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক, সাবেক এসপি চৌধুরী মঞ্জুরুল কবির, সাবেক সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) কাজী মনিরুজ্জামান, সহকারী পুলিশ সুপার (কালীগঞ্জ সার্কেল) মনিরুজ্জামান, দেবহাটা থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারক বিশ্বাস, উপ-পরিদর্শক (এসআই) জিয়াউল হক, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মজিবর রহমান, কুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আছাদুল হক, আ. খালেকের ছেলে মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জুর, তৎকালীন এস.আই শেখ আলী আকবর, এস.আই তপন কুমার সিংহ, এস.আই ইউনুস আলী গাজী, এস.আই ,তানভীর হাসান, পি. এ.এস.আই, মদন মোহন অধিকারী, এ.এস.আই, দেবাশীষ অধিকারী, এ.এস.আই, শফিকুল ইসলাম, রোকন উদ্দীন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি , যুগ্ম সম্পাদক ফারুক হোসেনসহ ৬২জন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ২৬ জানুয়ারি দেবহাটায় গ্রেফতারের পর ছাত্র শিবিরের দুই নেতা মারুফ হোসেন (২৪) ও আবুল কালামকে (২২) গুলি করে উল্লিখিত ব্যক্তিদের সহযোগিতায় পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়। সে সময় রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ভিন্ন থাকায় মামলা করার সাহস পায়নি। তবে শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর পরিস্থিতি অনুকূলে আসায় ন্যায় বিচার পাওয়ার দাবিতে মামলা রুজু করেছেন বলে বাদী নিহত মারুফ হোসেনের ভাই মোকফুর হাসান জানান।
বাদী পক্ষের আইনজীবী হাফিজুর রহমান বলেন, বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় এজাহার হিসেবে গণ্য করার নির্দেশ দিয়েছেন।