চাঁদপুর সদরের ফরক্কাবাদ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষের কক্ষ ও শ্রেণী কক্ষে ভাংচুর করেছে স্থানীয় বহিরাগত যুবকরা। একই সাথে তারা কলেজের অধ্যক্ষের কক্ষে ৩টি, প্রধান গেটসহ করণিকের কক্ষে তালা বদ্ধ করে দেয়।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। বহিরাগত লোকজন ভাংচুর করলে ভয়ে এবং আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের মাঝে।
বিকেল ৪টায় কলেজে গিয়ে অধ্যক্ষের কক্ষে ৩টি তালা, পাশের করণিকের কক্ষে ১টি তালা এবং প্রধান গেটে বহিরাগতদের নতুন তালাবদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। তবে এই বিষয়ে কথা বলার জন্য কলেজে দায়িত্বশীল কাউকেই পাওয়া যায়নি।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, মামলার কারণে কলেজের অধ্যক্ষ নেই। উপাধ্যক্ষ দিলীপ চন্দ্র দাস ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন। ৫ আগস্টের পর দেশের পরিস্থিতি পরিবর্তন হওয়ার কারণে স্থানীয় বিক্ষুব্ধ লোকদের অসৌজন্যমূলক আচরণের আশঙ্কায় কলেজে যেতে পারছেন না উপাধ্যক্ষও। যার ফলে কলেজটি অনেকটা অভিভাবকহীন অবস্থায়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক শিক্ষক জানান, বহিরাগত যুবকরা কলেজের অধ্যক্ষের কক্ষ ভাংচুর, শ্রেনী কক্ষের মধ্যে স্পীকারও ভাংচুর করেছে। তাদের কোন বিষয় কথা বলার থাকলে সভাপতির নিকট বলতে পারত। কিন্তু ভাংচুরের মত অপরাধমূলক কাজ করা ঠিক হয়নি।
কলেজের সভাপতি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিষয়টি অবহিত করেন শিক্ষকরা।
এমন পরিস্থিতিতে কলেজের করণিকসহ চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীরাও আছেন খুব ভয়ের মধ্যে। তারা কলেজের সম্পদ রক্ষায় কলেজেই অবস্থান করছেন। দায়িত্বের কারণে কলেজে মূল্যবান সম্পদ রক্ষার জন্য বাহিরে যেতে পারছে না তারা। ফলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কলেজে অবস্থান করছেন তারা। কারা ভাংচুর চালিয়েছে জেনেও ভয়ে বলতে পারছেন না কর্মচারিরা।
সদরের সবগুলো প্রতিষ্ঠানের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন জানিয়ে চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাখাওয়াত জামিল সৈকত এই বিষয়ে বলেন, ফরক্কাবাদ ডিগ্রি কলেজে ভাংচুরের বিষয়টি আমি জানিনা। তবে কলেজের শিক্ষকদের মধ্যে যারা দায়িত্বে আছেন তাদের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।