ঢাকা ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

মানিকগঞ্জে শহীদি মার্চ পালিত 

মানিকগঞ্জে শহীদি মার্চ পালিত 

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের একমাস পূর্তিতে মানিকগঞ্জে শহিদি মার্চ পালন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা।

বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টার দিকে মানিকগঞ্জের খালপাড় এলাকায় শহীদ রফিক চত্বরে শহিদি মার্চের আয়োজন করা হয়। মানিকগঞ্জ জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে আয়োজিত শহিদি মার্চে জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।

এসময় মানিকগঞ্জের সমন্বয়ক ওমর ফারুক, অন্যতম সমন্বয়ক রমজান মাহমুদ, আশরাফুল ইসলাম রাজু, মেহরাব, মিজানুর রহমান, নাসিম খান, সেলিমুল ইসলাম, মুজাহিদুল ইসলাম ফুয়াদ প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

সমন্বয়কারীরা বলেন, গত ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার পদত্যাগের মাধ্যমে নতুন একটি বাংলাদেশ পেয়েছে দেশবাসী। এই স্বাধীনতা যেন কোন অপশক্তি ছিনিয়ে নিতে না পারে। সেই দিকে ছাত্ররা সবসময় সজাগ আছে এবং থাকবে। খুনি হাসিনার নির্দেশে আবু সাঈদ আর মুগ্ধ, রফিকের মতো যেসকল ছাত্র নিহত হয়েছে তাদের তালিকা করে খুনি হাসিনার বিচারের দাবি করেন তারা।

বৈষম বিরোধী ছাত্র আন্দোলন মানিকগঞ্জের প্রধান সমন্বয়ক মোহাম্মদ ওমর ফারুক বলেন, স্বৈরাচারী হাসিনা সরকার বিগত ১৭ বছরে তথাকথিত মুক্তিযোদ্ধার চেতনার নামে যে অরাজকতা চালিয়েছে তা বিশ্ব ইতিহাসে বিরল ঘটনা। খুনি শেখ হাসিনা ও তার দোসররা জনগণের মত প্রকাশের স্বাধীনতা নির্লজ্জভাবে খর্ব করেছিল। দেশের কল্যাণকামী সকল রাজনৈতিক দলের মত প্রকাশ ও কর্মকাণ্ড বন্ধ করে দিয়েছিল। দেশকে পরিণত করেছিল স্বৈরাচারী পুলিশ রাষ্ট্রে।

ওমর ফারুক বলেন, গণঅভ্যুত্থানে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনা ১৭ বছরে বাংলাদেশের জনগণের সাথে প্রতারণা করে দেশটাকে বাপের দেশ মনে করে সকল রাষ্ট্রীয় সকল অর্গান মুজিবময় করে তুলেছিল। ছাত্র জনতার রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই স্বাধীনতাকে ধরে রাখতে ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে তৎপর থাকতে হবে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবকসহ হাসিনার দোসররা এখনও দেশে বসে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। প্রশাসনেও তারা ঘাপটি মেরে বসে আছে।

তিনি বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মানিকগঞ্জে রফিক শহীদ হয়েছেন। আহত হয়েছেন অনেকেই। হতাহতদের ক্ষতিপূরণ সহ তাদের পরিবারকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পুনর্বাসিত করতে হবে। পরে মোহাম্মদ ওমর ফারুক, রাজু আহমেদ, রমজান মাহমুদ ও মিজানদের নেতৃত্বে বিশাল একটি মিছিল শহর প্রদক্ষিণ শেষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয় এবং বিভিন্ন বিষয়ে প্রশাসনের সাথে কথা বলেন।

ছাত্র-জনতা,অভ্যুত্থান
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত