নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নের দেওয়ানবাগ দরবার শরীফে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) ফজরের নামাজের পর স্থানীয় মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে দেওয়ানবাগ বিরোধী লোকজন ও স্থানীয় এলাকাবাসী এ হামলা চালায়। এসময় বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেলেও তাৎক্ষণিক তাদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার দেওয়ানবাগ এলাকায় অবস্থিত দেওয়ানবাগ এলাকায় দেওয়ানবাগী পীরের বিশাল এক দরবার রয়েছে। শুক্রবার দেওয়ানবাগ দরবার শরীফের মারা যাওয়ার পর পীরের এক সন্তান ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে দরবারে আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিলের অনুষ্ঠান করার ঘোষণা দেয়। দেওয়ানবাগী পীরের বিরোধী লোকজনের মধ্যে এ অনুষ্ঠান করার বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজন গত ৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অনুষ্ঠানের বিরোধিতা করে নানান ধরনের পোস্ট দেয়। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে রাত থেকে উত্তেজনা চলছিল। শুক্রবার ফজরের নামাজের পর আশেপাশের মসজিদে ঘোষণা দিয়ে দেওয়ানবাগ দরবার শরীফে হামলা চালানো হয়। এ সময় স্থানীয় লোকজন দরবারের গেট ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে বিভিন্ন স্থাপনা হামলা ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। পরে দুটি টিনের ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। সকাল থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত দফায় দফায় হামলা ভাঙচুর লুটপাট চলে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
এ বিষয়ে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা জানান, দেওয়ানবাগ পীরের সঙ্গে স্থানীয়দের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। সেই বিরোধীদের যে আর ধরেই ফজরের নামাজের পর মসজিদের মাইকে ঘোষণা করে স্থানীয় লোকজন দেওয়ানবাগ দরবার শরীফে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এই ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কেউ থানায় অভিযোগ দায়ের করেনি।