ফেনীতে বন্যায় পোল্ট্রি খাতে খামারিদের ৪শত কোটি টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা পোল্ট্রি এসোসিয়েশন।
রবিবার ফুড গার্ডেন রেস্টুরেন্টে ফেনী জেলা পোল্ট্রি এসোসিয়েশনের আয়োজনে পোল্ট্রি খামারিদের অবহিতকরণ ও পূর্নবাসনের দাবীতে সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য জানান এসোসিয়েশন নেতৃবৃন্দ।
সংবাদ সম্মেলনে পোল্ট্রি মালিক সমিতির কর্মকর্তারা জানান সম্প্রতি বন্যায় ফেনী জেলার ৮০ ভাগ পোল্ট্রি ফার্ম তলিয়ে গেছে, ২০ ভাগ পোল্ট্রি আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এতে জেলার ৫ হাজার ছোট বড় পোল্ট্রি মালিকের প্রায় ৪ শত কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। এমতাবস্থায় সরকারের সহযোগিতা ছাড়া ফেনীর পোল্ট্রি শিল্প উৎপাদনে যাওয়া সম্ভব নয়।
তাই সরকারের সংশিষ্ট দপ্তর পোল্ট্রি ক্ষাতকে নগদ সহযোগিতা করা, চলমান ব্যাংক ঋনের সুদ ও কিস্তি আগামী ২ বছরের জন্য স্থগিত করা, ডিলার ও খামারিদের ২ বছর মেয়াদী সহজ শর্তে সুদ বিহীন ঋন প্রদানের ব্যবস্থা, খাদ্য ও বাচ্চা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান গুলোকে আগামী ১ বছর বিনা লাভে বাচ্চা ও খাদ্য সরবরাহ করা, ঔষধের যৌক্তিক মূল্য বৃদ্ধি করাসহ নানা দাবী উপস্থাপন করা হয়।
এ ছাড়া প্রতিদিন ১ লক্ষ ৫০ হাজার কেজি মাংস উৎপাদ করেছে। এক সময় ফেনীর পোল্ট্রি শিল্প উৎপাদন দিয়ে ফেনী ছাড়াও পাশ্ববর্তী নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম জেলায় চাহিদা পুরন করা হয়েছে। বর্তমানে ৫ হাজার ছোট বড় খামারি মালিক রয়েছে অনেকে ব্যাংক লোন নিয়ে ব্যবসা করে আসছিলো। অনেকে দেউলিয়া হওয়ার পথে রয়েছে। তাই যথাযথ ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ খামার মালিকের তালিকা অনুযায়ী ক্ষতিপূরন দাবী করা হয়। খামারিরা জেন বেকার না হয়ে পড়ে এজন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
পোল্ট্রি এসোসিয়েশনের সভাপতি মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলামের সঞ্চালনায় জেলা পোল্ট্রি এসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি ডাকবাংলা পোল্ট্রির মালিক আরিফুল রহমান, পরশুরাম উপজেলার সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, ছাগলনাইয়ার সভাপতি আবদুল মোমেন মিলন মাস্টার, সোনাগাজীর সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলন শেষে জেলা প্রশাসক বরাবরে স্বারক লিপি প্রদান করেছে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
