দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সারে আক্রান্ত শামছুন নাহার। অর্থের অভাবে করাতে পারছেন না নিজের চিকিৎসা। অসুস্থ শরীর নিয়েই পৈত্রিক সম্পত্তির অধিকার বুঝে পেতে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন।
ভূক্তভোগী ওই নারীর বাড়ি টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার বড়চওনা ইউনিয়নের নামদারপুর গ্রামে। বাবা রুস্তম আলী দুই পুত্র ও তিন কন্যা সন্তান রেখে প্রায় ১৭ বছর আগে মারা যান। এ সময় বড়চওনা মৌজায় ৯টি এবং কুতুবপুর মৌজায় ১৬টি খতিয়ানে ১৭ একর জমি রেখে যান বলে দাবি করেন তিনি।
তিনি জানান, বাবার পৈত্রিক সম্পত্তি বড় ভাই আমির হোসেন ও আবুল কালাম আজাদ ভোগদখল করে আসছেন। তার ভাইয়েরা এসব সম্পত্তি বন্ধকী (লিজ) দিয়ে প্রতি বছরই মোটা অঙ্কের টাকা পাচ্ছেন। যা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তিনি।
আক্ষেপ করে শামছুন নাহার বলেন, বাবার সন্তান হয়ে যদি তারা জমিগুলো ভোগদখল করতে পারেন আমি কেনো পারবোনা! আমি বাবার সম্পত্তি থেকে ভাইদের কারণে বঞ্চিত হচ্ছি, বৈষম্যের শিকার হচ্ছি। তাদের কাছে এসব দাবি নিয়ে গেলে নানা তালবাহানা করে থাকেন।
এদিকে, পৈত্রিক সম্পত্তির অধিকার বুঝে পেতে শামছুন নাহার সম্প্রতি সখীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত আবেদন করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ হোসেন পাটোয়ারী আবেদনের বিষয়ে বড়চওনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দেন।
এ প্রসঙ্গে ইউপি চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে পরিষদের সভা কক্ষে দুই পক্ষের লোকজন নিয়ে গত শনিবার বসা হয়েছিল। এ প্রেক্ষিতে মীমাংসার লক্ষ্যে জমির চূড়ান্ত পরিমাণ পরিমাপে একটি জুরিবোর্ড গঠন করা হয়েছে। ওই জুরিবোর্ড এক সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট দিবে। এর পর সমঝোতার লক্ষ্যে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে ভাই আমির হোসেন ও আবুল কালাম আজাদের কাছে জানতে চাইলে তারা জানান, শামছুন নাহারের পাওনার চেয়ে দাবি অনেক বেশি। যেহেতু সে বিচার প্রত্যাশী হয়ে অভিযোগ দিয়েছে, সেখানে যে সিদ্ধান্ত হবে আমরা সেটাই মানবো।