ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

নাটোরে শ্যালিকাকে ধর্ষণের দায়ে দুলাভাইয়ের যাবজ্জীবন 

নাটোরে শ্যালিকাকে ধর্ষণের দায়ে দুলাভাইয়ের যাবজ্জীবন 

নাটোরের লালপুরে শ্যালিকাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের দায়ে দুলাভাই মো. জাহেদুল ইসলাম জারেদকে (৩২) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায়ের নির্দেশ প্রদান করা হয়।

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নাটোর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এই রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জাহেদুল ইসলাম জারেদ নাটোরের লালপুর উপজেলার আব্দুলপুর (পূর্ব পাড়া) গ্রামের মো. আব্দুল মজিত প্রামানিকের ছেলে।

ভিকটিম একই উপজেলার সুন্দরগাড়া গ্রামের মো. জমসেদ আলীর মেয়ে।

নাটোর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাব্যুনালের বিশেষ পিপি অ্যাড. মো. আনিসুর রহমান জানান, ২০০৬ সালে নাটোরের লালপুর উপজেলার আব্দুলপুর পূর্বপাড়া গ্রামের জাহেদুল ইসলাম জারেদের সাথে একই উপজেলার সুন্দরগাড়া গ্রামের জমসেদ আলীর বড় মেয়ে শাপলা খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর আপন শ্যালিকা পপি খাতুনের (১৪) সঙ্গে দুলাভাই প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। পাশাপাশি বিভিন্ন সময় অবৈধভাবে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে দুজনে। পরবর্তীতে ২০২১ সালের ১৫ মার্চ সকাল ১০টার দিকে বাড়ির লোকজন না থাকায় পপি খাতুনকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আসামি অপহরণ করে কুষ্টিয়ায় এক চাচাতো ভাইয়ের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে পপির খাতুনের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে দুলাভাই জাহেদুল ইসলাম। বিষয়টি জানাজানি হলে পরবর্তীতে সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে স্বজনরা। এ ঘটনায় ১৬ মার্চ ভিকটিমের বাবা জমসেদ আলী বাদী হয়ে লালপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মেয়ে জামাইকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।

তিনি আরও জানান, এরপর লালপুর থানার তৎকালীন পরিদর্শক (ইন্সপেক্টর ) হীরেন্দ্রনাথ প্রামানিক তদন্ত শেষে জাহেদুলকে অভিযুক্ত করে একই বছরের ২৯ মে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দীর্ঘদিন পর শুনানি ও সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে বিচারক আজ সোমবার আসামি জাহেদুলকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন। এসময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

নাটোর,ধর্ষণ,যাবজ্জীবন
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত