সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার শ্যামপুর গ্রামে মাজারে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। মাজার বিরোধীরা ৩টি কবর খুড়ে দেহাবশেষ নিয়ে গেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সোমবার প্রায় দিনভর ওই গ্রামের ‘হযরত বড়পীর গাউসুল আজম দরবার শরীফে’ এ হামলার ঘটে। এমনকি মাইকিং করে শত শত লোক জমায়েত করে এ হামলা ভাংচুরে কেউ বাধা দেয়নি। মাজারের ৩টি কবর খুড়ে তাঁর ভিতরে থাকা মানুষের হাঁড়, মাথার খুলি নিয়ে যায় এবং ২টি খানকা ঘর ও একটি রান্না ঘর ভাংচুর করা হয়েছে। এছাড়া ওই মাজার অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করা হয়েছে।
ওই মাজার কমিটির সভাপতি আব্দুল ওয়াহাব কালু, সাধারণ সম্পাদক স্থানীয় বিএনপি নেতা হযরত আলী ও খাদেম হাফিজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, উক্ত গ্রামের খাজা সফুরা পাগলী ৫ শতক মিলে মোট ২০ শতক জায়গা ২০০৫ সালে হযরত বড়পীর আব্দুল কাদের জিলানী (রা.) দরবার শরীফের নামে ওয়াকফ্ করে দিয়েছেন। এরপর থেকে এখানে দরবার শরীফের কার্যক্রম চলতে থাকে। সোমবার সকালে মাজার বিরোধী মাদ্রাসার ছাত্র ও মৌলভীরা মাইকে মাজার ভাংচুরের ঘোষনা দেয়। এরপর তারা মিছিল সহকারে মাজারে এসে বিকেলে ৪টা পর্যন্ত তান্ডব চালায়। এসময় দেশীয় অস্ত্রেসস্ত্রে মাজারের বিভিন্ন স্থাপনা ভাংচুর করে। ৩টি পাকা কবর ভেঙ্গে কবরের ভিতরে থাকা দেহাবশেষ নিয়ে যায়। দীর্ঘ ১৭ বছর এখানে মাজারের কার্যক্রম চললেও কেউ কোনদিন বাধা দেয়নি। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
তারা আরও বলেন, প্রতি সপ্তাহে বৃহস্পতিবার এবং প্রতি মাসের প‚র্নিমার রাতে দরবার শরীফে জিকির, মিলাদ মাহফিল ও মুর্শিদী গানের আয়োজন শেষে তবারক বিতরণ করা হয়ে থাকে। প্রতি বছর ৮ সেপ্টেম্বর এখানে বাৎসরিক অনুষ্ঠান হয়। বড় বড় শিল্পীরা এখানে গান-বাজনা করতে আসেন। এখানে বহু ভক্তের আগমন ঘটে এবং এতে কেউ বিরোধীতা করেনি। এ বিষয়ে সদর থানার ওসি হুমায়ুন কবির আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, মাজার ভাংচুরের কথা জেনেছি। ওই মাজারের খাদেমকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়ছে এবং অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।