কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসককে মারধরের ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাতে ভুক্তভোগী চিকিৎসক ডা. সজীব কাজী মামলাটি দায়ের করেন। এতে অভিযান চালিয়ে দুই সহোদরকে গ্রেপ্তার করা হয়। অপর দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নিয়ে পরে ছেড়ে দেয়া হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন, কক্সবাজার পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের নতুন বাহারছড়া এলাকার মোহাম্মদ সেলিম রেজার ছেলে তাহসিন মোহাম্মদ রেজা (২৫), তামিম মোহাম্মদ রেজা (২২)।
কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মছিউর রহমান বলেন, কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে পৌরসভার ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালের ৪র্থ তলায় কার্ডিওলজি (সিসিইউ) বিভাগের ভেতর চিকিৎসক ও ওয়ার্ড কর্মীদের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় ডা. সজীব কাজী মামলা দায়ের করেন। মামলায় ২০ থেকে ২৫ জনকে আসামি করা হয়। এতে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুস সত্তার বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের দুইজনকে ৭দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। আদালত তাদের কারাগারে প্রেরণ করেন।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি আবদুল আজিজ নামের এক রোগীর মৃত্যু হয়। তিনি শহরের নুনিয়ারছড়া এলাকার বাসিন্দা। ভুল চিকিৎসার অভিযোগে কয়েকজন যুবক কর্তব্যরত চিকিৎসক সজীব কাজীকে মারধর করেন। এ সময় আইসিইউ, সিসিইউসহ হাসপাতালে ভাঙচুর চালানো হয়। পরে এঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে চিকিৎসাসেবা বন্ধ করে কর্মবিরতিতে যান হাসপাতালের সকল চিকিৎসক ও কর্মীরা। এরপর থেকে জরুরী বিভাগ খোলা থাকলেও আবাসিক।চিকিৎসা কমপ্লিট শাটডাউন ঘোষণা ও নানা দাবি নিয়ে মানববন্ধন করেন তারা।
সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মং টিং ঞো বলেন, কক্সবাজার সদর হাসপাতালের ভাঙচুর নিয়ে কমিটি করা হয়েছে। চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করলে শুধুমাত্র জরুরি বিভাগ ছাড়া আর কোথাও চিকিৎসা সেবা দেওয়া হবে না।