ঢাকা ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

হাসপাতালে রোগীর মৃত্যু

চিকিৎসককে মারধরের ঘটনায় মামলা, নিরাপত্তার দাবি

জরুরী-প্রসূতি বিভাগ ছাড়া অন্যান্য সেবা বন্ধ 
চিকিৎসককে মারধরের ঘটনায় মামলা, নিরাপত্তার দাবি

কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসককে মারধরের ঘটনায় মামলা হওয়ার পরও নিরাপত্তা সহ নানা দাবীতে এখনও জরুরী বিভাগ ছাড়া বাকি সব বিভাগে চিকিৎসা সেবা বন্ধ রয়েছে। আজও (বৃহস্পতিবার) মানববন্ধন সমাবেশ করেছে চিকিৎসক, নার্স, ইন্টার্নি ও মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা কাজে না ফেরার ঘোষণা দিয়েছে। তবে জরুরি বিভাগ ও প্রসূতি সেবা চালু রয়েছে।

বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) ভুক্তভোগী চিকিৎসক ডা. সজীব কাজী বাদী মামলাটি দায়ের করেন। এতে অভিযান চালিয়ে দুই সহোদরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন- কক্সবাজার পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের নতুন বাহারছড়া এলাকার মোহাম্মদ সেলিম রেজার ছেলে তাহসিন মোহাম্মদ রেজা (২৫), তামিম মোহাম্মদ রেজা (২২)। বৃহস্পতিবার হাসপাতালের মূল পটকের সামনে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেন চিকিৎসক, ইন্টার্নি, মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী, নার্স ও হাসপাতালের স্টাফরা। সমাবেশ থেকে তারা নিজেদের নিরাপত্তা দাবি করেন।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মিজানুর রহমান বলেন, কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে পৌরসভার ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালের ৪র্থ তলায় কার্ডিওলজি (সিসিইউ) বিভাগের ভেতর চিকিৎসক ও ওয়ার্ড কর্মীদের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় ডা. সজীব কাজী মামলা দায়ের করেন। মামলায় ২০ থেকে ২৫ জনকে আসামি করা হয়। এতে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুস সত্তার বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের দুইজনকে ৭দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। আদালত তাদের কারাগারে প্রেরণ করেন। মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি আবদুল আজিজ নামের এক রোগীর মৃত্যু হয়। তিনি শহরের নুনিয়ারছড়া এলাকার বাসিন্দা। ভুল চিকিৎসার অভিযোগে কয়েকজন যুবক কর্তব্যরত চিকিৎসক সজীব কাজীকে মারধর করেন। এসময় আইসিইউ, সিসিইউসহ হাসপাতালে ভাঙচুর চালানো হয়। পরে এঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে চিকিৎসাসেবা বন্ধ করে কর্মবিরতিতে যান হাসপাতালের সকল চিকিৎসক ও কর্মীরা। এরপর থেকে জরুরী বিভাগ খোলা থাকলেও আবাসিক।চিকিৎসা কমপ্লিট শাটডাউন ঘোষণা ও নানা দাবি নিয়ে মানববন্ধন করেন তারা।

কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার আশিকুর রহমান বলেন, আমাদের দাবি গুলো এখনো মেনে নেয়নি। আমাদের নিরাপত্তায় কোন নিশ্চিত করা হয়নি। হাসপাতালে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা বাহিনী নেই। যেখানে আমাদের নিরাপত্তা নেই সেখানে আমরা কিভাবে কাজ করব। তাই আমাদের সকল সহকর্মীরা তাদের সেবা বন্ধ রেখেছে। তবে মানবিক দিক বিবেচনা করে জরুরী বিভাগ ও প্রসূতি সেবা চালু রাখা হয়েছে।

সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মং টিং ঞো বলেন, কক্সবাজার সদর হাসপাতালের ভাঙচুর নিয়ে কমিটি করা হয়েছে। চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করলে শুধুমাত্র জরুরি বিভাগ ছাড়া আর কোথাও চিকিৎসা সেবা দেওয়া হবে না।

কক্সবাজার,চিকিৎসক
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত