কক্সবাজারের সদর উপজেলা ও উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৃথক পাহাড়ধসের ঘটনায় ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে সদর উপজেলার ঝিলংজার ২ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ ডিককুল এলাকায় একই পরিবারের তিনজন এবং উখিয়া উপজেলার ১৪ নম্বর হাকিমপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে একই পরিবারের তিনজন রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে পাহাড়ধসের ঘটনাগুলো ঘটে।
নিহতরা হলেন, দক্ষিণ ডিককুল এলাকার মিজানুর রহমানের স্ত্রী আঁখি মনি (২৬) এবং তার দুই শিশু কন্যা মিহা জান্নাত নাঈমা ও লতিফা ইসলাম। এছাড়া ১৪ নম্বর ক্যাম্পের বাসিন্দা আব্দুর রহিম (৩১) ও তার দুই ছেলে আব্দুল হাফিজ এবং আব্দুল ওয়াছেদ।
প্রতিবেশী মোহাম্মদ রুস্তম জানান, সন্ধ্যার পর থেকে টানা বৃষ্টি হওয়ায় মিজানের বাড়ির দিক থেকে একটি পাহাড় ধসের বিকট শব্দ শুনতে পায় তারা। পরে সেখানে গিয়ে দেখেন মিজানের পরিবারের সদস্যরা মাটিচাপা পড়েছে। তাৎক্ষণিক মিজানকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও স্ত্রী-সন্তান মাটির নিচে পড়ে যায়। পরে দমকল বাহিনী এলে মা ও দুই মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মিজানুল করিম সিকদার বলেন, টানা বর্ষণের কারণে কক্সবাজার সদর উপজেলার অনেক এলাকা তলিয়ে গেছে। পাহাড় ধসের আশঙ্কা থাকায় এসব এলাকায় সতর্ক করা হয়েছিল। কিন্তু অনেকে নিরাপদে সরে না যায়নি।
তিনি আরও বলেন, মিজানের বাড়িটি পাহাড়ের পাদদেশে। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে শুরু হওয়া ভারী বৃষ্টিতে মাটি নরম হয়ে যায়। পরে মধ্যরাতে তার বাড়িতে পাহাড় ধসে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
অন্যদিকে কক্সবাজার ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশন কার্যালয়ের অতিরিক্ত কমিশনার শামসুদ দৌজা নয়ন জানান, ভারী বর্ষণে উখিয়া ১৪ নম্বর হাকিম পাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড়ধসে তিনটি ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। ওই পরিবারের স্ত্রী-সন্তানসহ আরো দুইজন আহত হন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্বেচ্ছাসেবকরা উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।