চাঁদপুরে বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা, দেখা দিয়েছে কৃত্রিম বন্যা
প্রকাশ : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২০:২৩ | অনলাইন সংস্করণ
চাঁদপুর প্রতিনিধি
চাঁদপুরে গত কয়েকদিন অব্যাহত রয়েছে বৃষ্টি ও বজ্রপাত। মুষলধারে বৃষ্টির সঙ্গে বাতাসের তীব্রতাও বেড়েছে। উত্তাল হয়ে উঠেছে পদ্মা-মেঘনা। বৈরী আবহাওয়ার কারণেই স্থবিরতা বিরাজ করছে জনজীবনে। একই সঙ্গে বাতাসের তীব্রতাও বেড়েছে ও পদ্মা-মেঘনা নদীর ঢেউ। টানা বৃষ্টির কারণে জেলাটিতে জনজীবন অনেকটা স্থবির হয়ে পড়েছে। শহরের বিভিন্ন স্থানের নিম্ন অঞ্চলে ব্যাপক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে কৃত্রিম বন্যায় রুপ নিতে দেখা গেছে।
গত শনিবার ও রোববার সকাল থেকে টানা বৃষ্টির কারণে প্রয়োজন ছাড়া লোকজন বাসা বাড়ি থেকে বের হননি। বৃষ্টি উপেক্ষা করে ঘর থেকে বের হয়েছে হকার, ইজিবাইক চালক ও শ্রমিকরা। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোও সকাল ১০টার পরে খুলতে দেখা যায়। অনেকটা ঘরবন্দি হয়ে পড়েছেন লোকজন।
জেলা সদরের ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক চালক নুরুল ইসলাম বলেন, সকালে ভাড়া নিয়ে রামপুর ইউনিয়নের রাড়িচর এসেছি। এখন বৃষ্টির কারণে কোনো দিকে যেতে পারছি না। অনেক অটোরিকশা চালক বৃষ্টির কারণে ঘর থেকেও বের হতে পারছেন না।
সদরের বাগাদি ইউনিয়নের বাসিন্দা আলম মিয়া বলেন, চাঁদপুর সেচ প্রকল্প এলাকায় এর আগের টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। কিছদিন বৃষ্টি কম থাকায় পানি বাড়ি ঘর থেকে নেমে যায়। এখন আবার আগের অবস্থা তৈরি হয়ে পড়ছে। আগের বার ফসল ও মাছের খামারের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
শহরের পুরানবাজার বাণিজ্যিক এলাকার বাসিন্দা মাহমুদুল আহসান বলেন, সকাল থেকে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। দুপুর হলেও অনেকেই ঘর থেকে বের হতে পারছেন না। টানা বৃষ্টিতে জনজীবন অনেকটা স্থবির হয়ে পড়েছে। সড়কও অনেকটা ফাঁকা। অটোরিকশা-অটোবাইকের সংখ্যাও খুবই কম।
একই এলাকার বাসিন্দা শেখ আল মামুন বলেন, টানা বৃষ্টি ও বাতাসের তীব্রতায় নদীতে ঢেউ অনেক বেড়েছে। পানি বাড়েনি। তবে আবহাওয়া অনুকুলে না থাকায় জেলেরা নদীতে নামেনি। পুরো নদীই ফাঁকা।
শহরের নিউ ট্রাক রোড এলাকার ব্যবসায়ী হারুনুর রশিদ বলেন, গত ২দিন থেকে টানা বৃষ্টি। সকালে দোকান খুলেছি দেরিতে। কারণ ক্রেতার সংখ্যা খুবই কম। একান্ত দরকার ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছে না। দুপুর ১২টার পর থেকে বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়তে শুরু করেছে।
এদিকে গত এক সপ্তাহের অধিক চাঁদপুরে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। শহরে প্রতিদিন কমপক্ষে ছয়-সাত ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকে। আরও করুন অবস্থা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির। গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকে সাত-আট ঘণ্টা।
চাঁদপুর আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক শাহ মো. শোয়েব বলেন, গত শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাত ১২টা থেকে রোববার দুপুর ১২টা পর্যন্ত চাঁদপুরে ৬৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়ার সম্ভাবনা আছে।