চুয়াডাঙ্গায় থেমে থেমে বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। গত শুক্রবার রাত থেকে টানা বৃষ্টি শুরু হয় এ জেলায়। থেমে থেমে কখনো গুঁড়ি গুঁড়ি মুষলধারে বৃষ্টি চলমান রয়েছে। একই সঙ্গে বাতাসের তীব্রতাও দেখা গেছে। টানা বৃষ্টির কারণে এ অঞ্চলের জনজীবন অনেকটা স্থবির হয়ে পড়েছে।
রোববার সকাল ৬টা থেকে আজ সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় ১০৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময়ে বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৩০-৩৫ কিলোমিটার। তবে এ বৃষ্টিপাত আজ দুপুরের পর কমতে পারে। অপরদিকে, টানা বৃষ্টিতে বিভিন্ন স্থানের নিচু এলাকা তলিয়ে গেছে। রাস্তাঘাট ডুবে গেছে। পরে অবশ্য ধীরে ধীরে সে পানি নামতে শুরু করে।
সকাল থেকে টানা বৃষ্টির কারণে প্রয়োজন ছাড়া লোকজন বাসা বাড়ি থেকে বের হননি। বৃষ্টি উপেক্ষা করে ঘর থেকে বের হয়েছে হকার, ইজিবাইক চালক ও শ্রমিকরা। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোও সকাল ১০টার পরে খুলেছে। অনেকটা ঘরবন্দি হয়ে পড়েছেন লোকজন।
শহরের ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক চালক সজিব উদ্দীন বলেন, সকাল থেকে রাস্তায় ঘুরছি। কিন্তু সেভাবে যাত্রী নেই রাস্তায়। আবার বৃষ্টির কারণে কোনো দিকে যেতেও পারছি না। অনেক ইজিবাইক চালক বৃষ্টির কারণে ঘর থেকেও বের হতে পারছেন না।
শহরের বাসিন্দা মাহমুদুল আলম বলেন, সকাল থেকে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। দুপুর হলেও অনেকেই ঘর থেকে বের হতে পারছেন না। টানা বৃষ্টিতে জনজীবন অনেকটা স্থবির হয়ে পড়েছে। সড়কও অনেকটা ফাঁকা। অটোরিকশা-অটোবাইকের সংখ্যাও খুবই কম।
শহরের ব্যবসায়ী হারুনুর রশিদ বলেন, গত তিন দিন থেকে টানা বৃষ্টি। সকালে দোকান খুলেছি দেরিতে। কারণ ক্রেতার সংখ্যা খুবই কম। একান্ত দরকার ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছে না। দুপুর ১২টার পর থেকে বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়তে শুরু করেছে।