ঢাকা ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ভূরুঙ্গামারীতে সেতু ভেঙ্গে দূর্ভোগে ৪ গ্রামের মানুষ

ভূরুঙ্গামারীতে সেতু ভেঙ্গে দূর্ভোগে ৪ গ্রামের মানুষ

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী সদর ইউনিয়নের মানিককাজি গ্রামে ফুলকুমার নদের উপর নির্মিত সেতুটি মাঝে ভেঙ্গে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে চরম দূর্ভোগে পড়েছে এই সেতু দিয়ে চলাচলকারি ৪ গ্রামের প্রায় ১৫ হাজার মানুষ।

জানা গেছে, সদর ইউনিয়নের মানিককাজি গ্রামে ফুলকুমার নদের উপর ১৯৯১-৯২ সালে প্রায় ৩৩ মিটার দৈর্ঘ্য ও আড়াই মিটার প্রস্তের একটি সরু সেতু নির্মাণ করা হয়। সেতুটির মাঝ খানে ভেঙ্গে বড় এক গর্তের সৃষ্টি হয়। সাবধান, ঝুঁকিপূর্ণ সেতু যানবাহন চলাচল নিষেধ' লিখে একটি সাইন বোর্ড টাঙ্গিয়ে দেয় উপজেলা প্রকৌশলী দপ্তর। এত দিন এলাকাবাসি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দিয়ে চলাচল করলেও যানবাহন ঢুকতে না পারায় কর্মজীবী মানুষ এবং এলাকার ব্যবসা-বাণিজ্য স্থবির হয়ে পড়েছে।

জানা যায়, উপজেলা সদরের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনকারী এই সেতুটি ব্যবহার করেন ভূরুঙ্গামারী সদর ইউনিয়নের মানিককাজি, পূর্ব ও পশ্চিম ভোটহাট এবং জয়মনিরহাট ইউনিয়নের বাউসমারি গ্রামের প্রায় ১৫ হাজার লোক। এছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কয়েকশ শিক্ষার্থী প্রতিদিন চলাচল করে এই সেতু দিয়ে । সেতুটি ভেঙ্গে যে কোন মুহর্তে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।

মানিককাজি ঘাটপাড় বাজারের ব্যবসায়ী ওসমান নুরুল ইসলাম ও মোখলেছ জানান, সেতুটিতে বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় কৃষি পণ্য সহ কনজুমার প্রোডাক্টের মালামালের কোন কোম্পানির গাড়ী বাজারে ঢুকতে পারছেনা। তাই উপজেলা সদর থেকে ব্যবসায়িক মালামাল কিনতে হচ্ছে। তাতে দ্বিগুন পরিবহন খরচ হচ্ছে। তাই এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষের কাছে নতুন একটি সেতু দ্রæত নির্মানের জন্য জোড় দাবি জানিয়েছেন।

এই ব্যাপারে ভূরুঙ্গামারী সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহমুদুর রহমান রোজেন জানান, সেতুটি পুণঃ নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।

উপজেলা প্রকৌশলী হারুন অর রশিদ জানান, ইতিমধ্যে সেতুটি নির্মাণের ব্যয় বিবরণী তৈরি করে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ বরাবরে পাঠানো হয়েছে। আশা করছি খুব শীঘ্রই উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ প্রয়েজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।

ভূরুঙ্গামারী,দূর্ভোগ,সেতু
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত