কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে ঈদে মিলাদুন্নবীর মিছিলকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন। এসময় মসজিদ ও মাজার ভাঙচুর করে দুপক্ষের লোকজন।
নিহত ব্যক্তি কুলিয়ারচর উপজেলার ছয়সূতী পূর্বপাড়া গ্রামের জমির উদ্দিন জাবু মিয়ার ছেলে মীর মোহাম্মদ মিলন। তিনি কুলিয়ারচর উপজেলা বিএনপির কার্যকরী কমিটির সদস্য।
সোমবার দুপুর ১২টার দিকে কুলিয়ারচর উপজেলার ছয়সূতী বাজারে জশনে জুলুস মিছিলকারী এবং ইমাম ও উলামা পরিষদের সদস্যদের মধ্যে ঘন্টাখানেক চলে এ সংঘর্ষ।
সংঘর্ষ চলাকালে তরিকতপন্থীরা ছয়সূতী বাজার জামে মসজিদ এবং হক্বপন্থীরা সৈয়দ আবু মোহাম্মদ মঞ্জুরুল হামিদ (রহ.) মাজার ভাঙচুর করে।
কুলিয়ারচর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সারোয়ার জাহান জানান, ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে সৈয়দ আবু মোহাম্মদ মঞ্জুরুল হামিদ (রহ.) মাজারে ১৫ সেপ্টেম্বররওয়াজ মাহফিল অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। এতে বাধা দেন কুলিয়ারচর ইমাম ও উলামা পরিষদের নেতারা। ওয়াজ মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল গিয়াস উদ্দিন আত্ব-তাহেরী। তাকে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে এ বিষয়ে ইমাম ও উলামা পরিষদের নেতারা একটি চিঠি দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে। প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গিয়াস উদ্দিন আত্ব-তাহেরী কুলিয়ারচরে আসেননি।
এদিকে ইমাম ও উলামা পরিষদ এবং তরিকতপন্থীদের মধ্যে যাতে কোন রকম দ্বন্দ্ব সৃষ্টি না হয়, সেজন্য কিছু দিকনির্দেশনা দেয় কুলিয়ারচর প্রশাসন। সেই সিদ্ধান্ত মোতাবেক তরিকতপন্থীরা সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) জশনে জুলুসের মিছিল বের করে। মিছিলটি ছয়সূতী বাজার এলাকায় না যাওয়ার কথা থাকলেও তারা মিছিল নিয়ে বাজারে ঢুকে পড়লে ইমাম উলামা পরিষদের লোকজনের সাথে সংঘর্ষ বাঁধে।