ঢাকা ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

অন্তবর্তীকালীন সরকারকে সময় দিতে হবে : সারজিস আলম

অন্তবর্তীকালীন সরকারকে সময় দিতে হবে : সারজিস আলম

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কারী সারজিস আলম বলেছেন, আমাদের দেশে সিস্টেমের মাধ্যমে যে ক্যান্সার তৈরী হয়েছে, সেই ক্যান্সার নির্মূল করে জনগণের ভোটের মাধ্যমে সরকার প্রতিষ্ঠার দিকে যেতে হবে। এজন্য আমাদের ধৈর্য ধরে অন্তবর্তীকালীন সরকারকে সময় দিতে হবে এবং আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। তবে ছাত্র-জনতাকে বলতে চাই, আমরা কোনো অথরিটি না, আমরা প্রেসার গ্রুপ। সেই প্রেসার গ্রুপ হয়েই কাজ করে যেতে চাই।

সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রংপুরের ঐতিহাসিক পাবলিক লাইব্রেরী শহীদ মিনার মাঠে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন ।

সারজিস আলম বলেন, রংপুর বিভাগের বরাদ্দ কম, দেশের প্রথম সারির সিটি করপোরেশন, বিশ্ববিদ্যালয় বছরে যে বাজেট পায়, পুরো রংপুর বিভাগ সেই বাজেট পায়নি। এভাবে ১৬ বছর ধরে রংপুর বিভাগ বাজেট বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছে। এই রংপুরে এখন একটি প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে পারি নাই। সেরা কোনো মেডিকেল কলেজ নির্মাণ করতে পারি নাই। তাই রংপুর বিভাগের উন্নয়নে আমাদের অধিকার আদায়ে আওয়াজ তুলতে হবে। আওয়াজ তোলার এখনই উত্তম সময়। এখন আওয়াজ তুলবেন কিনা আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার।

তিনি আরো বলেন, তিস্তা মহাপরিকল্পনা একটি যৌক্তিক দাবি। এই তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে ১ হাজার কোটি টাকা দরকার। তারপরও বাস্তবায়ন করা হয়নি তিস্তা মহাপরিকল্পনা। অন্যদিকে এই ফ্যাসিস্ট সরকার পদ্মা সেতু ও পদ্মা রেল সেতু বাস্তবায়নে ৭০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করেছে। অথচ ১ হাজার কোটি মানুষের জন্য তিস্তা মহাপরিকল্পনা করেনি। শুধু তাই নয় রংপুর বিভাগের ৮ টি জেলা রয়েছে, সেই জেলাগুলো ২য় সারির জেলা, রংপুর বিভাগ দ্বিতীয় সারির বরাদ্দ পয়। এই বৈষম্য আর মানি না।

সারজিস আলম বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকার অনেক ভাইকে মামলা দিয়ে আদালতের বারান্দায় চক্কর দিয়ে ঘুরিয়ে নিয়ে বেড়িয়েছে। অনেকের জীবন ধ্বংশ করে দিয়েছে, চাঁদাবাজি করেছে, হামলা করেছে, দখল করেছে। সেই একই কাজ আমরা যদি করি তাহলে ১ হাজার ছাত্র-জনতার জীবনের বিনিময়ে পাওয়া স্বাধীনতা ধুলিসাৎ হবে। আমাদের এইসব থেকে বিরত থাকতে হবে।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে সারজিস বলেন, সবসময় আমার অংশগ্রহণ থাকবে তবে শিক্ষার্থী হিসেবে আমার অগ্রাধিকার হবে পড়ালেখা। কেননা দেশকে একশত বছর এগিয়ে নিতে হলে কোয়ালিটিফুল রিসোর্চ দরকার। বাংলাদেশে ভারতসহ বিশ্বের অসংখ্য দেশের জনশক্তি লক্ষ কোটি ডলার নিয়ে যায় তাদের বেতন হিসেবে। তাই ওই পদগুলোর জন্য আমাদের তৈরী করতে হবে। ২০২৪ সালের স্প্রিট ধরে রাখতে হলে, তরুণ সমাজকে বাঁচাতে হবে। এজন্য মাদকের ছোবল থেকে দূরে থাকতে হবে। আমাদের পড়ালেখায় ফিরতে হবে।

মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক তরিকুল ইসলাম, রকিব মাসুদ, আবু সাঈদ লিয়ন ও আব্দুল মুনঈম, এস আই শাহিন, মিশু আলি সুহাস, জহির রায়হান, ফিহাদুর রহমান, সুমন কিবরিয়া, সজিব ইসলাম, আব্দুর রউফ, ইমরান আহমেদ প্রমুখ।

এর আগে দুপুরে রংপুর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে শহীদ ও আহত পরিবারের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ। এ সময় রংপুর বিভাগের আট জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আসা শহীদ ও আহত পরিবারের সদস্যরা তাদের চিকিৎসাসেবা ও বর্তমান অন্তবরর্তী সরকারের কাছে প্রত্যাশার কথা তুলে ধরেন।

অন্তবর্তীকালীন,সময়
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত