মতবিনিময় সভায় অতিরিক্ত ডিআইজি বিধান ত্রিপুরা
‘পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে’
প্রকাশ : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০৩ | অনলাইন সংস্করণ
স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার
ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি বিধান ত্রিপুরা বলেছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সরকার পতনের পর দেশের সব জায়গায় সংস্কারের কাজ চলমান রয়েছে। তাই কক্সবাজার পর্যটন শহরকেও সংস্কার করা দরকার। পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকালে সৈকতের লাবণী পয়েন্টে ট্যুরিস্ট পুলিশের কার্যালয়ে পর্যটনসেবী, সাংবাদিক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, পর্যটন শহর হিসেবে বিশ্বজুড়ে কক্সবাজার সমাদৃত। তাই এই সেক্টরের অনিয়ম দূর করে একটি সুন্দর পর্যটনবান্ধব শহর দেশী—বিদেশী পর্যটকদের উপহার দিতে। যা সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সম্ভব।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়নের পুলিশ সুপার আবুল কালামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) শাকিল আহমেদ ও জেলা প্রশাসনের পর্যটন শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানভির আহমেদ।
তারা বলেন, পর্যটনের স্বার্থে কোন ছাড় নেই। পর্যটকদের নিরাপত্তা সবার আগে। পর্যটক হয়রানী করে কেউ ছাড় পাবে না। তাই পর্যটন ব্যবসায়ীদের প্রশাসনের সাথে এক হয়ে কাজ করতে হবে।
সভায় বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার প্রেস ক্লাবের সভাপতি মাহবুবুর রহমান, দৈনিক ইনকিলাবের কক্সবাজার ব্যুরো প্রধান শামসুল হক শারেক, পৌর বিএনপির সভাপতি রফিকুল হুদা চৌধুরী, হোটেল মোটেল গেষ্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার, মেরিন ড্রাইভ হোটেল মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুকিম খান, পর্যটন উদ্যোক্তা আবদুর রহমান, কিটকট মালিক সমিতির সভাপতি মাহবুবুর রহমান, ঝিনুক ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি জয়নাল আবেদীন ও জাকের।
বক্তারা বলেন, অপরকিল্পত উন্নয়নের ফলে ভারী বৃষ্টি হলে কক্সবাজার জলাবদ্ধতায় ডুবে যায়। যার মাশুল দিতে হয় ব্যবসায়ীদের। পর্যটকদের প্রতিনিয়ত হয়রানী করে আসছে ইজি বাইক চালক, হিজড়া, হকার, ফটোগ্রাফার, দালাল, টোকাই ও ভিক্ষুক। এছাড়া পর্যটন এলাকায় ছিনতাইকারীরা সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত বেপরোয়া হয়ে উঠে। তাই এসব সমস্যা দ্রুত নিরসন করা দরকার। তাছাড়া বিদেশী পর্যটক আনতে পরিকল্পিত উদ্যোগ নিতে হবে। পুনর্গঠন করতে হবে বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটি। পর্যটন এলাকার মানুষকে প্রকৃত অর্থে পর্যটকবান্ধব করে গড়ে তুলতে হবে। তবেই সম্ভব পর্যটন শিল্প বিকাশ।
সাংবাদিক, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বক, পর্যটনসেবী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাসহ নেবৃবৃন্দ সভায় উপস্থিত ছিলেন।