কিশোরগঞ্জের ভৈরবে পরকীয়া প্রেমিককে সাথে নিয়ে স্বামীকে হত্যার দায়ে স্ত্রী ও প্রেমিককে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া প্রতিজনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদন্ডের কথা বলা হয়েছে এ রায়ে।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সাম্মি হাসিনা পারভীন এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ভৈরব উপজেলার চন্ডিবের উত্ততপাড়া গ্রামের মো. শহিদ মিয়ার মেয়ে মোছা. রোখসানা আক্তার। এবং একই গ্রামের বাবুল আহম্মেদের ছেলে আসিফ আহম্মেদ।
মামলার বিবরণে জানা যায়, নিহত মাহবুবুর রহমান বাংলাদেশ রেলওয়ে বিভাগে ঢাকার কমলাপুরে চাকুরী করতেন। স্ত্রী দুই বাচ্চা নিয়ে ভৈরবে তাঁর বড় ভাইয়ের বাসায় থাকতেন। প্রতি সপ্তাহে তিনি স্ত্রী সন্তানের কাছে আসতেন। ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় মাহবুব ভৈরবে স্ত্রী সন্তানের কাছে আসলে পরদিন ভোরে বাসার ভিতর থেকে তার রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনাটি স্ত্রী ডাকাতির ঘটনা বলে প্রচার করেন সবাইকে।
পরদিন নিহতের বড়ভাই বাদি হয়ে অজ্ঞাত আসামী করে ভৈরব থানায় একটি হত্যা মামলা দায়েন করেন।
ঐদিন পুলিশ নিহতের স্ত্রী রোকসানা আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নিয়ে গেলে পুলিশের কাছে পরকীয়া প্রেমিককে সাথে নিয়ে স্বামীকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। পরবর্তীতে আদালতেও স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন।
এ ঘটনায় ২০২০ সনের ৩০ মার্চ দুই জনকে আসামী করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করে পুলিশ। স্বাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আদালত আজ এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।