আধিপত্য বিস্তার
দু’গ্রুপে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় হাজীগঞ্জ বাজার রণক্ষেত্র, আহত অর্ধশতাধিক
প্রকাশ : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:৩২ | অনলাইন সংস্করণ
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দু’গ্রুপে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ২ জনের মৃত্যুর খবর শোনা গেলেও হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাপস শীল নিহতের তথ্যের ঘটনার কোন সত্যতা নিশ্চিত করেনি।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে টোরাগড় ৭ ও ৮নং ওয়ার্ড থেকে বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের বিক্ষুদ্ধ নেতা-কর্মীরা হাজীগঞ্জ বাজারস্থ ৬নং ওয়ার্ড টোরাগড় সর্দার বাড়ীর বিএনপি ও অঙ্গসহযোগি সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। তবে ঠিক কি কারনে এই সংঘর্ষ তার মূল কারন এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পরে এক পর্যায়ে তা হাজীগঞ্জ বাজারে ছড়িয়ে পড়ে রক্তক্ষয়ী রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। বন্ধ হয়ে যায় চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কের সকল গাড়ী, হাজার হাজার মানুষ বাজারের বিভিন্ন মার্কেট ও হাসপাতালে ছোটাছোটি করে আতঙ্কে আটকা পড়ে।
রাত প্রায় ১০টার সময় চাঁদপুর থেকে সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হলেও পরিস্থিতি থমথমে। এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুর রকিব এবং জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন।
স্থানীয়রা জানান, ১৯ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় টোরাগড় ও মকিমাবদ সর্দার বাড়ীর বিএনপি নেতাকর্মীদের সাথে প্রথম দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় বিএনপি নেতা আকতার হোসেন ও তার ছেলে এবং যুবলদল নেতা বাবু গুরুতর আহত হয়। তাদেরকে হাজীগঞ্জের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বৃহস্পতিবার রাতে বিক্ষুদ্ধ নেতাকর্মীরা কয়েকটি মোটরসাইকেলে আগুন ও কয়েকটি গাড়ী ভাংচুর করে। এ বিষয়টি নিয়ে শুক্রবার হাজীগঞ্জ থানায় বৈঠক হলেও সমাধান হয়নি। ফলে সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে আবারো ২ গ্রুপে সংঘর্ষ বাঁধে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (রাত সাড়ে ১১টা) সংঘর্ষ চলছিলো।
এ বিষয়ে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুক বলেন, বিএনপি’র দুপক্ষের মারামারির বিষয়ে পরিস্থিতি এখন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে। তবে নিহত কে বা কারা হয়েছে এখনো এমন কোন তথ্য পাইনি।
এ বিষয়ে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের ইউএনও তাপস শীল বলেন, আমরা এখনো নিহতের কোন তথ্য পাইনি। তবে বেশ কয়েকজন আহত হবার খবর পাচ্ছি।