মেধাবী সেনা কর্মকর্তা তথা বাংলাদেশ রাইফেলসকে ধ্বংস করার নীল নকশার অংশ হিসেবে পিলখানায় ন্যাক্কারজনক হত্যাযজ্ঞ চালায় শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তৎকালীন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার। তাদের ক্ষমতাকে সুদৃঢ় করার বহুমুখী নীল নকশার অংশ হিসাবে পিলখানায় এই হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল।
রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে লোমহর্ষ এসব তথ্য তুলে ধরেন ২০০৯ সালে তথাকথিত বিডিআর বিদ্রোহের নামে চাকুরীচ্যুত বিডিআর সদস্যরা।
সেনাবাহিনীর সামর্থ্য ক্ষুন্ন করতে এবং বাংলাদেশ রাইফেলস'কে ধ্বংস করার জন্য, প্রতিশোধ স্পৃহা থেকে এবং ক্ষমতাকে সুদৃঢ় করতে নীল নকশার অংশ হিসেবে সুপরিকল্পিতভাবে ২০০৯ সালে পিলখানায় হত্যাযজ্ঞ চালায় বলে অভিযোগ করেছে চাকুরীচ্যুত বিডিআর সদস্যরা। তারা ওই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত-পূর্বক চাকুরীচ্যুতদের পুনর্বহালের দাবি জানান। পরে মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। এ সময় ভুক্তভোগী ৫ সদস্যদের একটি বিডিআর প্রতিনিধিদল উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন চাকুরীচ্যুত সুবেদার আক্তারুজ্জামান, মোঃ রমিজ উদ্দিন, সাইদুর রহমান, সুবেদার আরশাদ আলী এবং মানিকগঞ্জ জেলা ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ওমর ফারুক।
চাকুরীচ্যুত বিডিআর সদস্যরা তাদের স্বারকলিপিতে অভিযোগ করেছেন, ২০০৯ সালের ২৫ এবং ২৬ তারিখে পিলখানায় সুপরিকল্পিত হত্যাকান্ডে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন শাহাদাৎ বরন করেছেন। ঘটনার পরে আওয়ামী লীগ ফ্যাসিস্ট সরকার প্রহসনের বিচারের নামে আলামত ধ্বংস ও নারীহ ৫৪ জন বিডিআর সদস্যকে নিরাপত্তা হেফাজতে হত্যা করে। পিলখানা হত্যাকান্ডের ঘটনাকে তথাকথিত বিদ্রোহ সংজ্ঞায়িত করে সারাদেশে ১৮ হাজার ৫২০ জন বিডিআর সদস্যকে চাকুরীচ্যুতসহ বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেন ফ্যাসিস্ট সরকার। আজ হাজার হাজার বিডিআর সদস্যরা মানবেতর জীবনযাপন করছে।
মানিকগঞ্জ জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ওমর ফারুক বলেন, আপনারা জানেন ২০০৯ সালে আজ থেকে ১৫ বছর আগে পিলখানায় হত্যাযজ্ঞের ঘটনা ঘটে। এসময় হাজার হাজার বিডিআর সদস্যদের চাকুরীচ্যুত এবং তাদের বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেয়া হয়েছে। পিলখানার ঘটনা পূর্নতদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি করছি। এছাড়াও এখনো যেসকল বিডিআর সদস্যরা জেলাখানায় সাজা ভোগ করছেন তাদের ছেড়ে দেয়া হোক। চাকুরীচ্যুত সকল বিডিআর সদস্যদের চাকুরীতে পুনর্বহাল করার দাবী করেন তিনি।
উল্লেখ্য, বিডিআর বিদ্রোহের নামে মানিকগঞ্জ জেলার ৪৭ জনকে চাকরীচ্যুত করা হয়। এদের মধ্যে একজন ইতোমধ্যে মৃত্যুবরণ করেছেন।