ঢাকা ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

হাজীগঞ্জে সংঘর্ষের ঘটনায় আহত কিশোরের মৃত্যু

হাজীগঞ্জে সংঘর্ষের ঘটনায় আহত কিশোরের মৃত্যু

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ বাজারে শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাতে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৫০ জনের মধ্যে গুরুতর আহত পথচারী কিশোর সাইমুন (১৪) মারা গেছে।

রোরবার (২২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা আনুমানিক ৭ টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডির সুপার ম্যাক্স হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করে সাইমুন।

সাইমুনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার পিতা মো. ইউনুস। তারা হাজীগঞ্জ পৌর এলকার মিঠানিয়া ব্রিজের পাশে এসএস বিল্ডিংয়ের চতুর্থ তলায় ভাড়া থাকতেন। ওই এলাকার একটি হিফজ খানায় হিফজুল কুরআন বিভাগে সাইমুন পড়াশুনা করতেন। সাইমুনের মূল বাড়ি চাঁদপুর সদর উপজেলার ৫নম্বর রামপুর ইউনিয়নের চরবাকিলা গ্রামে।

সাইমুনের পিতা ইউনুস কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, সাইমুন আমার একমাত্র ছেলে। ঘটনার সময় সে একটি কাজে হাজীগঞ্জ বাজারে যায়। সেখানে সে বড় মসজিদে এশার নামাজ পড়ে বাসায় ফেরার জন্য সাধনা ঔষধালায়ের সামনে দাঁড়িয়ে ছিল। এ সময় সে মারামারির মধ্যে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হয়। অজ্ঞাতরা তাকে ওই অবস্থায় ফেলে রেখে যায়। স্থানীয় কয়েকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে হাজীগঞ্জ মুন হসপিটালে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লায় রেফার করা হয়। সেখানে তার শারিরীক অবস্থার অবনতি হলে শনিবার দুপুরে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। ঢাকাতে আজ সন্ধ্যার দিকে ধানমন্ডির সুপার ম্যাক্স হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করে।

সাইমুনের মৃত্যুর বিষয়টি আরো নিশ্চিত করেন চাঁদপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মুহম্মদ আব্দুর রকিব।

এই ঘটনায় ৪০০জনকে আসামী করে থানায় মামলা করা হয়েছে। এই ঘটনায় সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে মোহাম্মদ রিফাত (১৯) ও মো. ইমরান হোসেন (২৩) নামে দুই যুবককে আটক করা হয়েছে।

শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) হাজীগঞ্জ থানায় মামলা করেন পৌর এলাকার টোরাগড় গ্রামের পারভেজের স্ত্রী তুহিন বেগম।

মামলার পর দুই যুবককে আটক করা হয়। এর মধ্যে রিফাত উপজেলার পশ্চিম গন্ধর্ব্যপুর ইউনিয়নের জমাদার বাড়ির মীর হোসেনের ছেলে এবং ইমরান উপজেলার সেন্দ্রা গ্রামের গাজী বাড়ীর শুকুরে ছেলে। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুক

এর আগে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার রাতে স্থানীয় দুই গ্রুপের (মকিমাবাদ-টোরাগড়) কিশোরদের মধ্যে সংঘর্ষে হাজীগঞ্জ বাজার রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এতে অর্ধশতাধিক ব্যাক্তি আহত হন। তারা সকলে স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। সংঘর্ষে লিপ্ত ব্যাক্তিরা বিএনপি সমর্থক।

হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুক বলেন, সংঘর্ষের ঘটনার সাথে জড়িত বাকি সন্দেহভাজনদের ধরতে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

হাজীগঞ্জ,মৃত্যু
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত