পাঁচ আগস্ট ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে কক্সবাজার পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা শাহাব উদ্দিন সিকদারকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী।
রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় দক্ষিণ রুমালিয়ারছড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। শাহাব উদ্দিন সিকদার (৩৩) শহরের বলীর জাহাল এলাকার হোসেন মাস্টারের ছেলে। সোমবার তাকে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় দায়েরকৃত একটি হত্যা মামলার গ্রেফতার দেখিয়ে চালান দেয়া হয়েছে। কক্সবাজার জেলা পুলিশের মুখপাত্র, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) মো.জসীম উদ্দিন চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, যৌথ অভিযানে আটক কাউন্সিলর সাহাব উদ্দিন সিকদারকে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় ছাত্র- জনতার উপর গুলিবর্ষণের ঘটনায় দায়েরকৃত একটি হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে চালান দেয়া হয়েছে। একই সাথে মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদনও করেছে। পরবর্তীতে তার দেয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করে ঘটনায় জড়িত অপরদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।
র্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (ল অ্যান্ড মিডিয়া) মো. আবুল কালাম চৌধুরীর প্রেরিত ক্ষুদ্রে বার্তায় বলা হয়, শাহাব উদ্দিন সিকদারের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা, ভূমিদখল, অর্থ আত্মসাতের মামলাসহ শতাধিক অভিযোগ রয়েছে। উক্ত অভিযোগের ভিত্তিতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে ম্যাজিস্ট্রেট, র্যাব ও পুলিশ এর সমন্বয়ে গঠিত যৌথ একটি টিম অভিযান পরিচালনা করে দক্ষিণ রুমালিয়ারছড়া নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়। পরে তার পৃথক দুটি বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়।
যৌথ বাহিনীর পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অভিযানে শাহাব উদ্দিন সিকদারের বাড়িতে অবৈধ অস্ত্র পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে যৌথ বাহিনীর টিম পৌঁছানোর পূর্বেই অবৈধ অস্ত্র সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সরকার পতনের পর আটক শাহাব উদ্দিনের তারবড় ভাই বিএনপি নেতা ইমরান শিকদার এর ছত্রছায়ায় এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। অভিযানে হতায়াতের ঘটনা ঘটেনি বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।