'রাষ্ট্র সংস্কারের সাথে একটি নির্বাচনী 'রোডম্যাপ'ও চাইলেন সালাহউদ্দিন আহমদ
প্রকাশ : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৮:৫৯ | অনলাইন সংস্করণ
স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, রাষ্ট্র সংস্কারের সাথে সাথে একটি নির্বাচনী 'রোডম্যাপ'ও প্রয়োজন। তাহলেই দেশের জনগণ বুঝতে পারবে দেশে চলমান সংস্কার কার্যক্রম একটি গণতান্ত্রিক পন্থায় যাচ্ছে। তাহলেই জনগণ গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পাবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আওয়ামী লীগের দুস্কৃতিকারীরা পুড়িয়ে দেয়া কক্সবাজার জেলা বিএনপির কার্যালয় পরিদর্শন শেষে শহরের একটি অভিজাত হোটেলে তিনি গণমাধ্যমকে এসব কথা বলেন।
'আয়না ঘর' থেকে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলং শহরে নির্বাসিত থাকা বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ এই নেতা বলেন, ছাত্র-জনতার নজিরবিহীন রক্তস্নাত বিপ্লবের মাধ্যমে পাওয়া এই বিজয়কে অর্থবহ করতে হবে। দেশকে প্রকৃত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে উপহার দিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘অভ্যন্তরীণ ষড়যন্ত্র থেকে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। দেশে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হবে। দল-মত নির্বিশেষে গণতন্ত্রের সুফল দেশের মানুষকে ভোগ করতে হবে।
কক্সবাজার-০১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসন থেকে বারবার নির্বাচিত সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘বাংলাদেশ যে একটি আইনের শাসনের রাষ্ট্র তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে হবে। স্বাধীন রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে যেন সবাই মেরুদণ্ড সোজা করে দাঁড়াতে পারে, তার জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
এছাড়াও যারা আয়না ঘর বানিয়ে গুম, খুন নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে, তাদের এদেশের রাজনীতি করার কোন অধিকার নেই। স্বৈরাচারের হাতে নির্মমভাবে গুমের স্বীকার হওয়া এই নেতা ছাত্র-আন্দোলনে নিহতদের কথা স্মরণ করেন তিনি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন তাঁর সহধর্মিনী ও সাবেক সংসদ সদস্য এডভোকেট হাসিনা আহমেদ, কেন্দ্রীয় বিএনপি মৎস্যজীবী বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সাংসদ লুৎফুর রহমান কাজল, জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শামীম আরা স্বপ্না।
ইতোপূর্বে সালাহউদ্দিন আহমদ বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে বেসরকারি একটি ফ্লাইটে কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছান। সেখানে শত শত নেতা-কর্মী তাঁকে স্বাগত জানান। পরে তিনি বিমানবন্দর থেকে সরাসরি কক্সবাজার জেলা বিএনপি কার্যালয়ে যান। ছাত্র-জনতার গণবিপ্লবের আগের দিন ৪ আগষ্ট রাতে আওয়ামী দুস্কৃতিকারীদের হাতে আগুনে পুড়ে যাওয়া জেলা বিএনপি কার্যালয় দেখে তিনি ব্যথিত হন। এই বিএনপি কার্যালয়টি সালাহউদ্দিন আহমদের হাত ধরেই স্থায়ী রূপ পেয়েছিল।
বিএনপি কার্যালয় থেকে তিনি শহরের একটি অভিজাত হোটেলে যান। সেখানে লবিতে বসেই পুড়ে যাওয়া কার্যালয়ের সংস্কার নিয়ে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির মৎস্যজীবী বিষয়ক সম্পাদক লুৎফুর রহমান কাজল ও জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরীর সাথে দিকনির্দেশনামূলক পরামর্শ করেন।