অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, স্থানীয় সসরকার বিভাগের উপ-পরিচালক ও চাঁদপুর পৌরসভার প্রশাসক একরামুল সিদ্দিক বলেছেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে চাঁদপুর পৌরসভার মাসব্যাপি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ঔষধ ছিটানোর কার্যক্রম তা নিয়মিত কার্যক্রম, তা অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া রাস্তা, ড্রেন, ডোবা-নালাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আশপাশের ঝোঁপ, ময়লা আবর্জনা পরিস্কার করা হচ্ছে। উড়ন্ত মশা নিধনের জন্যও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে যেখানে মশার উপদ্রব বেশি সেখানে মশার স্প্রে প্রদান করা হয়।
আতঙ্ক নয় সচেতনতা, ডেঙ্গু নয় সুস্থতা এই শ্লোগানে চাঁদপুর পৌরসভার আয়োজনে ডেঙ্গু প্রতিরোধে-সচেতনতা সৃষ্টি, পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা লার্ভা ধ্বংসে বুধবার সকালে চাঁদপুর পৌরসভা প্রাঙ্গনে র্যালি পূর্ব সংক্ষিপ্ত আলোচনাসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
পৌর বাসীর কাছে অনুরোধ জানিয়ে চাঁদপুর পৌরসভার প্রশাসক বলেন, আপনার চারপাশে ডেঙ্গু মশার লার্ভা থাকতে পারে। আপনারা যদি আপনার চারপাশ না পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে রাখতে পারেন, তাহলে আমাদেরকে জানান আমরা ব্যবস্থা নেব। আপনারা যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলবেন না, নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা ফেলুন। তাহলে আমরা পরিচ্ছন্ন কর্মী দিয়ে সহজে ডাস্টবিন থেকে ময়লা তুলে নিয়ে নির্দিষ্টস্থানে ফেলতে পারবো। কেউ যদি ডেঙ্গু আক্রান্ত হন, তাহলে আপনারা হাসপাতালে ভর্তি হন। কারো যদি চিকিৎসা সহায়তার প্রয়োজন হয় তাকে আমরা পৌরসভার পক্ষ থেকে সহায়তা দেব। এজন্য সকলের সম্মিলিত সহযোগিতার প্রয়োজন। আমরা চাই একটি সুন্দর পরিচ্ছন্ন ও নান্দনিক পৌরসভা গড়ে তুলতে।
এসময় চাঁদপুর পৌরসভার প্রধান নির্বাহী আবুল কালাম ভূঁইয়া, প্রশাসনিক মফিজ উদ্দিন হাওলাদার, চাঁদপুর পৌরসভার শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ হোসেন, মহিলা কাউন্সিলর ফেরদৌসি আক্তার, পৌরসবার হিসাবরক্ষক মশিউর রহমান, চাঁদপুর পৌরসভার পরিচ্ছন্ন শাখার পরিদর্শক মো. শাহজাহান খান, স্যানেটারী ইন্সপেক্টর বেলায়েত হোসেন রাজুসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
চাঁদপুর পৌরসভার পরিচ্ছন্ন শাখার পরিদর্শক মো. শাহজাহান খান জানান, চাঁদপুর পৌরসভায় ফগার মেশিন রয়েছে ১২টি ও স্প্রে লার্ভা মেশিন রয়েছে ১৫টি। প্রতিদিন মোট ৪০ জন শ্রমিক বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত হয়ে পরিচ্ছন্ন কাজ করে থাকে।