নারীদের নিয়ে কাজ করা জাতিসংঘের সংস্থা ইউএন উইমেন এর অর্থায়নে উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পরিচালিত হচ্ছে " উইম্যানস লিডারশীপ অন ইম্প্রুভিং পিস, সোসিও ইকোনমিক স্ট্যাবিলিটি এন্ড পার্টিসিপেশন ইন পাওয়ার করিডোর ইন কক্সবাজার " শীর্ষক প্রকল্প।
ইউএন উইমেন সহযোগিতায় দেশীয় এনজিও সংস্থা বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ (বিএনপিএস) প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করে আসছে।
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয় (আরআরআরসি) থেকে ২০২৩ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের শফিউল্লাহকাটায় অবস্থিত ১৬ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ঐ ক্যাম্পের সিআইসি (ক্যাম্প ইনচার্জ) এর সুপারিশে সেখানে প্রকল্পটির কার্যক্রম চালানোর অনুমতি নেয় সংস্থাটি।
মাত্র চার মাস অতিবাহিত না হতেই প্রায় ৩০ হাজার আশ্রিত রোহিঙ্গার বসতি থাকা ১৬নং ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গোষ্ঠীদের বিচরণে ঝুঁকিপূর্ণ ৪নং ক্যাম্পে প্রকল্পের কার্যক্রম ইউএন উইমেন সহযোগিতায় স্থানান্তর করে বিএনপিএস।
নির্দেশনা অনুযায়ী, কোন সংস্থা প্রকল্পের স্থান (ক্যাম্প) পরিবর্তন করলে অবশ্যই সেটি সুনির্দিষ্ট কারণ সহ আরআরআরসিকে অবহিত করতে হবে এবং অনুমতি গ্রহণ করতে হবে।
মেয়াদ থাকা সত্ত্বেও প্রথমে অনুমোদন নেওয়া ক্যাম্পে কার্যক্রম না চালিয়ে একই প্রকল্প উখিয়ার রাজাপালংয়ের মধুরছড়া ৪নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পরিচালনার জন্য গত ৩০ জানুয়ারি তারিখে ইউএন উইমেন ও বিএনপিএস কৌশলে তথ্য গোপন করে আরআরআরসি থেকে বিএনপিএস নতুন অনুমোদন নেয়।
গত ২৮ জুলাই, ১৬ নং ক্যাম্পের সিআইসি এক চিঠির মাধ্যমে - নির্দেশনা অমান্য করে বিএনপিএস এর এমন প্রতারণার কথা শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারকে জানান।
বিষয়টি ওয়াকিবহাল হওয়ার পর প্রকল্পের স্থান পরিবর্তনের বিষয়টি অবহিত না করার কারণ জানতে চেয়ে বিএনপিএসকে ব্যাখ্যা দিতে বলে আরআরআরসি।
গত ২১ আগস্ট আরআরআরসির সিনিয়র সহকারী সচিব পরিমল কুমার সরকার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে যার সত্যতা মিলেছে।
যেখানে, উল্লেখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিএনপিএস কর্তৃপক্ষকে তিনদিনের মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।
"বিষয়টি আমাদের আভ্যন্তরীণ, আপনি পেলেন কোত্থেকে?"- ব্যাখ্যা দিয়েছেন কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিবেদককে উল্টো প্রশ্ন রাখেন বিএনপিএসের প্রকল্প সমন্বয়কারী মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম ফরাজী।
কি ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে সেটি জানাতে অপারগতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, " আরআরআরসি যা জানতে চেয়েছে, আমরা তা জানিয়েছি। বেশি কিছু জানার থাকলে কক্সবাজার অফিসে আসেন, সরাসরি কথা বলবো। "
আরআরআরসির একটি সূত্র বলছে, ব্যাখ্যাটি ফলপ্রসূ না হওয়ায় পরবর্তী পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন।
তবে এবিষয়ে জানতে চেয়ে সিনিয়র সহকারী সচিব পরিমল কুমার সরকারের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও সাড়া মেলেনি।